পুতিনকে ব্রাজিলে গ্রেপ্তার করা হবে না: লুলা

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা জানান, রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন যদি ২০২৪ সালের জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে আসেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ও রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ও রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা জানান, রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন যদি ২০২৪ সালের জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে আসেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।

আজ রোববার আল জাজিরা এই সংবাদ দিয়েছে।

দিল্লীতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে লুলা ফার্স্টপোস্ট নিউজ শোতে শনিবার জানান, পুতিনকে আগামী বছরের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তিনি আরও জানান, তিনি নিজেই রিও'র সম্মেলনের আগে ব্রিকস জোটের পরবর্তী সভায় যোগ দিতে রাশিয়া যাবেন।

লুলা বলেন, 'আমার বিশ্বাস, পুতিন খুব সহজেই ব্রাজিলে যেতে পারবেন। আপনাদের আমি যা বলতে পারি, তা হল, যদি আমি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে থাকি এবং তিনি (পুতিন) সেখানে আসেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করার কোনো সম্ভাবনা নেই।'

উল্লেখ্য, মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। যার ফলে আইসিসি'র নীতি অনুযায়ী, যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রে পুতিন পা রাখলেই তাকে গ্রেপ্তার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

রাশিয়া আইসিসির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তবে মার্চের পর থেকে পুতিন সব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সশরীরে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। জি২০ সম্মেলনে তার পক্ষে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

ব্রাজিল আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম। রোম স্মারকে সাক্ষরের মাধ্যমে তারা এই মর্যাদা পেয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যের জন্য লুলার কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

শনিবার জি২০ জোটের সদস্যরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন না করার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

তবে সার্বিকভাবে কোনো দেশের ভূখণ্ড দখলের জন্য অপর কোনো দেশের পক্ষ থেকে সামরিক শক্তি ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়।

জি২০র বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা সব রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি মেনে চলার আহ্বান জানাই, যার মধ্যে আছে ভূখণ্ডের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার, যার মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা হয়'।

'আমরা ইউক্রেনে ন্যায্য ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে যেকোনো প্রাসঙ্গিক ও গঠনমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা বা ব্যবহারের হুমকি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়', বিবৃতিতে যোগ করা হয়।

Comments