অভুক্ত নাগরিকদের খাওয়াতে ২০০ হাতি হত্যা করবে জিম্বাবুয়ে
খরায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। সেখানে দিনের পর দিন অভুক্ত লাখো মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হাতি হত্যা করার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
সোমবার দেশটির পার্ক ও বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র তিনশে ফারাও সিএনএনকে বলেন, 'দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ তীব্র খাদ্য ঝুঁকির মুখে পড়ায় আমরা ২০০টি হাতি হত্যার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।'
এর আগে দীর্ঘস্থায়ী খরার সময় দেশের মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা থেকে বাঁচাতে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফ্রিকার আরেক দেন নামিবিয়া। তাদের দেখানো পথেই হাঁটছে এখন জিম্বাবুয়ে।
ফারাও জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়েতে ৮৪ হাজারের বেশি হাতি রয়েছে, যদিও তাদের বনগুলোর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪৫ হাজার হাতির।
সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের পরিবেশমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেছেন, এই 'প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাতি'র খাবার জোগাতে গিয়ে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কেননা, হাতিগুলো তাদের নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি না পেয়ে লোকালয়ে চলে যাচ্ছে।
দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সিএনএন বলেছে, হাতির আক্রমণে ইতোমধ্যেই এ বছর অন্তত ৩১ জন মানুষ মারা গেছেন।
জিম্বাবুয়ের সরকার দাপ্তরিক কাজ শেষে আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিলেই মাংস সংগ্রহের জন্য হাতি হত্যা শুরু হবে।
দেশটির সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন প্রাণী অধিকার কর্মীরা।
জিম্বাবুয়ে এবারই প্রথম হাতি হত্যা করছে না। এর আগে ১৯৮৮ সালেও হাতি হত্যা করেছে দেশটির সরকার। তবে, তখন হাতিগুলোকে হত্যা করা হয়েছে লোকালয়ে এসে অতিমাত্রায় মানুষের ওপর হামলা চালানোর কারণে।
Comments