গত ২ দশকের ভয়াবহ যত ভূমিকম্প
তুরস্কের মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আজ সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এর আগেও বিভিন্ন দেশ এমন প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে। গত ২ দশকের তেমন কিছু প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের তথ্য জেনে নিন।
২০২১ সালের ১৪ আগস্ট হাইতির দক্ষিণাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৩ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ফলে, ১.৫ মিটার সুনামি হয় এবং ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় কেরমানশাহ অঞ্চলে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এ ভূমিকম্পে প্রতিবেশী দেশ ইরাকে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩৬৯ জন নিহত হন। ১৯৮৫ সালের ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ইতালির মধ্যাঞ্চলীয় রোমের পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০ জন নিহত হন।
২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল ইকুয়েডরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন।
২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটির পাশাপাশি উত্তর পাকিস্তানে প্রায় ৪০০ মানুষের মৃতু হয়।
২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত হন। ওই ভূমিকম্পে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
২০১৪ সালের ৩ আগস্ট চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ইউনান প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমপক্ষে ৬০০ জন নিহত হন।
২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৮ মাত্রার দুটি ভূমিকম্পে অন্তত ৮২৫ জন নিহত হন।
২০১২ সালের ১১ আগস্ট ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরের কাছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৪ ও ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ২টি শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৩০০ জন নিহত হন।
২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে, এতে প্রায় ১৫ হাজার ৬৯০ জন নিহত ও ৫ হাজার ৭০০ জন আহত হয়। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিপর্যয়ও ঘটে এই ভূমিকম্পে।
২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৮০ জন নিহত হন।
২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চিলিতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামির ফলে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। লাখ লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায় এবং মহাসড়ক ও সেতু ভেঙে যায়।
২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শহরটি ও আশেপাশের এলাকার ৮০ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।
২০০৮ সালের ১২ মে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় ৮৭ হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রায় ৯ দশমিক ১৫ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। যা ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কায় এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য অনেক অনেক দেশে আঘাত হানে। এতে অনেক গ্রাম ও পর্যটন দ্বীপ ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার নিহত বা নিখোঁজ হন।
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের ইসলামাবাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৭৩ হাজার মানুষ নিহত হন। এই ভূমিকম্পে কাশ্মীরেও ১ হাজার ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়।
২০০৩ সালের ডিসেম্বর ২৬ ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব কেরমান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং বাম শহরকে সমতল করে দেয়। এতে প্রায় ৩১ হাজার মানুষের মুত্যু হয়।
সূত্র: রয়টার্স
Comments