দনবাসের গুরুত্বপূর্ণ লাইমান শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার

লাইমানের নগর প্রশাসন কেন্দ্রের সামনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরা বক্তব্য দিচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
লাইমানের নগর প্রশাসন কেন্দ্রের সামনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরা বক্তব্য দিচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

রুশ সেনা ও তাদের সমর্থিত দনবাস বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ লাইমান শহর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে।

গতকাল শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরটি এ তথ্য জানায়।

ইউক্রেনের বাহিনী ওই অঞ্চলকে লক্ষ্য করে বড় পরিসরের আক্রমণ শুরু করার পর রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রধান ডেনিস পুশিলিন চলমান পরিস্থিতিকে 'আশঙ্কাজনক' আখ্যা দিয়ে বলেন, 'সেখানে অবস্থানরত বাহিনীকে প্রায় "অর্ধেক এলাকাজুড়ে" ঘিরে ফেলা হয়েছে।'

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার হুমকির মুখে মিত্রবাহিনীর সেনারা ক্রাসনি লিমান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আরও সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছে।'

রুশ সেনাবাহিনী সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ক্রাসনি লিমান হামলায় ইউক্রেন বাহিনীর ২০০-র বেশি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫টি পদাতিক সেনা বহনকারী পরিবহন ও ৫টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'এতো ক্ষতির মুখে পড়ার পরও ইউক্রেন রিজার্ভ সেনা পাঠাতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সেনা ও সরঞ্জামের দিক দিয়ে তারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে যায়।'

ইউক্রেনের ইস্ট অপারেশনাল কমান্ডের প্রতিনিধি সের্গেই শেরেভাতি ইউক্রেনের গণমাধ্যমকে জানান, ক্রাসনি লিমানের রুশ বাহিনীকে 'ঘিরে ফেলা' হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী ক্রাসনি লিমানের কাছাকাছি ৫ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ-পূর্ব দিকের শহর ইয়ামপোল।

বিবৃতিতে শহরটিকে সোভিয়েত আমলের নাম 'ক্রাসনি লিমান' বলে অভিহিত করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৬ সালে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ শহরটির নাম বদলে দেয়।

লাইমান শহর পুনর্দখলের পর ট্যাংক থেকে মাথা বের করে তাকিয়ে আছেন এক ইউক্রেনীয় সৈন্য। ছবি: রয়টার্স
লাইমান শহর পুনর্দখলের পর ট্যাংক থেকে মাথা বের করে তাকিয়ে আছেন এক ইউক্রেনীয় সৈন্য। ছবি: রয়টার্স

লাইমান শহরের পুনর্দখল ইউক্রেনের জন্য কৌশলগত বিজয়। এ শহরটিকে রাশিয়া সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল। এটি দখলের মাধ্যমে ইউক্রেনের সেনাদের জন্য দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের আরও অঞ্চল পুনর্দখলের পথ সুগম হয়েছে।

গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, রুশ অধিকৃত খেরসন ও ঝাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য চুক্তিতে সই করেছেন। এই ৪ অঞ্চল গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত গণভোটে রাশিয়াতে যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।

ওই গণভোটকে ইউক্রেন এবং পশ্চিমের দেশগুলো 'অবৈধ ও প্রহসনমূলক' বলে অভিহিত করেছে। ভোটের ফল তারা মেনে নেয়নি।

সম্প্রতি, পুতিন সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন এবং ৩ লাখ রিজার্ভ সেনাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান।

 

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

15h ago