ফের হামলা চালালে ইউক্রেনকে কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি পুতিনের

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ক্রিমিয়া-রাশিয়া সেতুর মতো আরও কোনো হামলা হলে কিয়েভকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। ইউক্রেন যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও 'সন্ত্রাসী হামলা' করে তাহলে আজ রাশিয়া যেমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তেমন সামরিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

আজ সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুতিন এ কথা বলেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুতিন এ সময় বলেন, 'আজ সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এবং রুশ জেনারেল স্টাফদের পরিকল্পনা অনুসারে ইউক্রেনের জ্বালানি, সামরিক কমান্ড ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর দূরপাল্লার বায়ু, সমুদ্র এবং স্থল-ভিত্তিক অস্ত্র দিয়ে বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে রাশিয়া কঠোরভাবে এবং এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া হুমকির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানাবে। এ বিষয়ে কেউ কোনো সন্দেহই রাখবেন না।'

'ফরেনসিক ও অন্যান্য তথ্য, সেইসঙ্গে অপারেশনাল তথ্য ইঙ্গিত করে যে ৮ অক্টোবরের বিস্ফোরণটি একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল। সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা। এটা স্পষ্ট, রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইউক্রেনের সিক্রেট সার্ভিসগুলো হামলাটির নির্দেশনা দিয়েছে, সংগঠিত করেছে এবং পরিচালনা করেছে', যোগ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

ক্রিমিয়া-রাশিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে আজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রধান। কিয়েভ ছাড়াও তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে লিভিভ, দিনিপ্রো, ঝাপোরিঝঝিয়া শহরে।

ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও, এ ঘটনায় ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পুলিশ। 

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago