ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৮

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনার স্যাটেলাইট চিত্র। ছবি: রয়টার্স/মাক্সার
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনার স্যাটেলাইট চিত্র। ছবি: রয়টার্স/মাক্সার

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ ৮ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া।

আজ বুধবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

কের্চ সেতুতে শনিবারের বিস্ফোরণের ঘটনাকে 'জঙ্গি হামলা' হিসেবে অভিহিত করে রাশিয়া এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনের গোয়েন্দাসংস্থাকে দায়ী করেছে।

রুশ সংবাদ মাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স রুশ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এফএসবি) বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ রুশ ও ৩ ইউক্রেনীয় ও আর্মেনীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এফএসবি আরও জানায়, বিস্ফোরক উপকরণগুলো প্লাস্টিকের ফিল্ম রোলে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এগুলো আগস্টে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছেড়ে যায় এবং বুলগেরিয়া, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া হয়ে রাশিয়ায় পৌঁছায়।

এফএসবি ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও সুনির্দিষ্টভাবে এর পরিচালক কিরিলো বুদানভকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে।

রুশ সংবাদ মাধ্যম তাস জানিয়েছে, আরও ১২ সহযোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তাস আরও জানায়, বিস্ফোরণে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন।

সরাসরি এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইউক্রেন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্দ্রেই ইউসভ বলেন, 'এফএসবি ও তদন্ত কমিটির পুরো কার্যক্রমের কোনো মানে নেই।'

তিনি এফএসবি ও তদন্ত কমিটিকে 'পুতিন সরকারের আজ্ঞাবাহী ভুয়া অবকাঠামো' বলে অভিহিত করেন। 

তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করছেন পুতিন। ছবি: রয়টার্স
তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করছেন পুতিন। ছবি: রয়টার্স

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত ট্রাকটির মালিক একজন ২৫ বছর বয়সী ক্রিমিয় নাগরিক।

তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন তার চাচা।

বিস্ফোরণে নিহতদের মাঝে উল্লেখিত ট্রাক চালকও অন্যতম।

কের্চ সেতুতে হামলার পর ইউক্রেনে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে ক্রেমলিন। গত ২ দিন রাজধানী কিয়েভসহ অধিকৃত দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিস্থিতিতে ইউক্রেন পশ্চিমের কাছ থেকে দ্রুত আরও বেশি সামরিক সহায়তা চেয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি মিত্রদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গতকাল মঙ্গলবার জেলেনস্কি জি-৭ নেতাদের কাছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় আরও বেশি সামরিক সহায়তা চেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago