উত্তর ক্যারোলিনায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৫

উত্তর ক্যারোলাইনার গোলাগুলির ঘটনার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ছবি: এপি
উত্তর ক্যারোলাইনার গোলাগুলির ঘটনার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনা রাজ্যের রাজধানী র‍্যালেতে বন্দুকধারীর গুলিতে এক পুলিশসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, গতকাল এ ঘটনার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার  অভিযানে সন্দেহভাজন ১ কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র জানান, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা তখন দায়িত্বে ছিলেন না। অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হামলায় আহত হন। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও অংশ নেয়। অভিযান চলাকালে র‍্যালের ঐ অংশে সব ধরনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের বলা হয় ঘোরাফেরা না করে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় আশ্রয় নিতে।

ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ছবিতে র‍্যালেতে পুলিশি অভিযান দেখা যাচ্ছে। ছবি: এপি
ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ছবিতে র‍্যালেতে পুলিশি অভিযান দেখা যাচ্ছে। ছবি: এপি

নিউস রিভার গ্রিনওয়ে নামে একটি ট্রেইলের কাছাকাছি জায়গায় গোলাগুলি শুরু হয়। এই ট্রেইলটি (পথ) শহরের একটি অংশের ভেতর দিয়ে গেছে। প্রায় ৩ ঘণ্টা অনুসন্ধানের পর পুলিশ গাছপালায় ঘেরা একটি বাসায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জানানো হয়, আটক শ্বেতাঙ্গ কিশোরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মেয়র ম্যারি-অ্যান বল্ডউইন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার ঘটনাগুলোর নিন্দা জানান। নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর রয় কুপার বলেন, 'জঙ্গিবাদ এখন আমাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।'

গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে বন্দুকধারী ব্যক্তি একটি লম্বা নলযুক্ত বন্দুক ব্যবহার করেন। তবে পুলিশ আটক ব্যক্তির ব্যবহৃত অস্ত্র কিংবা এ ঘটনার পেছনের কারণ নিয়ে কিছু জানায়নি।

মেয়র বলেন, 'আমাদের করণীয় আরও অনেক কিছুই আছে। আমাদের উচিৎ যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের বেপরোয়া সহিংসতা বন্ধ করা। আমাদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago