ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী

২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাতে বিবেক (৩৭) স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন
বক্তব্য রাখছেন বিবেক রামাস্বামী । ফাইল ছবি: রয়টার্স
বক্তব্য রাখছেন বিবেক রামাস্বামী । ফাইল ছবি: রয়টার্স

মানবাধিকার কর্মী, উদ্যোক্তা ও লেখক বিবেক রামাস্বামী আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবেকের জন্মের আগেই তার বাবা মা ভারতের কেরালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে অভিবাসন করেন।  ২০০৭ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিবেকের নতুন প্রতিষ্ঠান স্ট্রাইভ গত বছর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশগত, সামাজিক ও কর্পোরেট সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগ বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়ে আলোচনায় আসে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাতে বিবেক (৩৭) স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৬ মাসেরও কম সময়ে তিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি তহবিল জোগাড় করেন।

প্রার্থিতার কথা ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি টুইটার বার্তায় বলেন, 'আমরা আমাদের "ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্য)" এতোটাই উদযাপন করেছি যে আমরা ভুলে গেছি যে আমরা সবাই আমেরিকান, যারা এমন সব মতাদর্শে পরিচালিত, যার মাধ্যমে ২৫০ বছর আগে একদল বিভাজিত ও একগুঁয়ে মানুষকে একতাবদ্ধ করা হয়েছে'।

সাবেক জৈবপ্রযুক্তি বিনিয়োগকারী ও নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেককে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টক্কর দিতে হবে। 

ফ্লোরিডার গভর্নর রন দেসান্তিস, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর টিম স্কটও রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। ট্রাম্প এবং জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিক্কি হেইলি ইতোমধ্যে মনোনয়নের দৌড়ে শামিল হয়েছেন। 

বিবেক ২০২১ সালে 'ওকে ইঙ্ক: ইনসাইড কর্পোরেট আমেরিকা'স সোশ্যাল জাস্টিস স্ক্যাম' নামের বই লিখে আলোচনায় আসেন। তার নতুন প্রতিষ্ঠান স্ট্রাইভ শেভরন, ব্ল্যাকরক, ওয়াল্ট ডিজনি ও অ্যাপল সহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনে। এরপর বিবেকের প্রতিষ্ঠান বড় বড় সংস্থাগুলোকে তাদের ইএসজি নীতিমালা বর্জন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, যার মাঝে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য প্রতিষ্ঠা অথবা কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনা। বিবেকের মতে, এসব কার্যক্রমের দিকে নজর না দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উচিৎ মুনাফার বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া।

বর্তমান বিশ্বে টেকসই জ্বালানির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর মতো বিষয়গুলো যখন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, সে সময় বিবেকের ভিন্নধর্মী বার্তা তাকে রক্ষণশীল রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। ক্যাবল টিভির বিভিন্ন চ্যানেলের নিয়মিত অতিথি তিনি।

বিবেকের অনুপস্থিতিতে স্ট্রাইভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যানসন ফ্রেরিক্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।

 

Comments