আবারও ফেসবৃুক-ইনস্টাগ্রামে ফিরছেন ট্রাম্প

২০২১ এর ৬ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের মেটা অ্যাকাউন্টের ওপর ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০২১ এর ৬ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের মেটা অ্যাকাউন্টের ওপর ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইঙ্ক বুধবার জানিয়েছে, তারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে।

গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ এর ৬ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের মেটা অ্যাকাউন্টের ওপর ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সম্প্রতি এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে।

এই অ্যাকাউন্টগুলো চালু হলে তা ২০২৪ এর হোয়াইট হাউজ নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। গত বছর ট্রাম্প পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন।

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ট্রাম্পের যথাক্রমে ৩ কোটি ৪০ লাখ ও ২ কোটি ৩০ লাখ অনুসরণকারী রয়েছেন। এই দুই প্ল্যাটফর্ম ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রচারণা ও তহবিল সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত মাধ্যম বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।

নভেম্বরে বর্তমান মালিক ইলন মাস্ক ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট চালু করেন। তবে ট্রাম্প এখনো সেখানে নতুন কোনো পোস্ট করেননি।

মেটার কর্মকর্তা নিক ক্লেগ একটি আনুষ্ঠানিক ব্লগ পোস্টে বলেন, 'মি. ট্রাম্প আবারও কোনো নীতিমালা বহির্ভূত পোস্ট করলে সেগুলো মুছে দেওয়া হবে এবং নীতি লঙ্ঘনের মাত্রা অনুযায়ী তাকে ১ মাস থেকে ঊর্ধ্বে ২ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হতে পারে'। 

২ বছর আগে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে মেটার পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই বক্তব্য দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে কোনো দেশের ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধানের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি।

প্রতিষ্ঠানটি ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার সময় ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। তার ২টি পোস্টও মুছে ফেলা হয়, যার ১টিতে তিনি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তবে ট্রাম্প আবারও মেটার প্ল্যাটফর্মে ফিরবেন কী না, তা নিশ্চিত নয়।

টুইটার অ্যাকাউন্ট আবারও চালু হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি তার নিজ অ্যাপ ট্রুথ সোশালেই থাকতে আগ্রহী।

তবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা সংক্রান্ত মুখপাত্র গত সপ্তাহে ফক্স নিউজ ডিজিটালকে জানান, ট্রাম্পের ফেসবুকে ফিরে আসা '২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে'।

ট্রুথ সোশালে মেটার অ্যাপগুলোতে ফিরে আসা নিয়ে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, 'কোনো দেশের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট অথবা প্রতিশোধমূলক আচরণের শিকার হওয়ার মতো কিছু করেনি, এমন ব্যক্তির ভাগ্যে এ ধরনের পরিণতি থাকা উচিৎ নয়'।

তিনি মেটার প্ল্যাটফর্মে আবারও পোস্ট করবেন কী না, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি।

ডেমোক্র্যাট দলের জনপ্রতিনিধি অ্যাডাম স্কিফ মেটার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।

তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, 'ট্রাম্প একটি বিদ্রোহকে উসকে দিয়েছিলেন। তার মিথ্যা ও অযৌক্তিক, আবেগ নির্ভর রাজনৈতিক বার্তা ও মিথ্যে কথা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া একটি বিপদজনক কাজ'।

 

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

7h ago