উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশকারী সেনা ট্রাভিস কিংকে বহিষ্কার, ফিরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে

উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশকারী মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। জুলাইতে এই ঘটনার পর থেকে তিনি আটক ছিলেন পিয়ংইয়ং কর্তৃপক্ষের কাছে। অবশেষে তাকে বহিষ্কার করেছে কিম জং এর দেশ। মার্কিন হেফাজতে তিনি এখন দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়া থেকে বহিষ্কারের পর ট্রাভিস চীনে গেছেন। সেখান থেকে ফিরবেন দেশে। গতকাল বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তথ্য জানায়।

গত ১৮ জুলাই মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং (২৩) উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক এলাকা (ডিএমজেড) অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাৎক্ষনিকভাবে উত্তর কোরিয়া তাকে আটক করে।

ওয়াশিংটন ট্রাভিসকে প্রিজনার অব ওয়ার হিসেবে ঘোষণা দিতে অস্বীকার করে। সরকারের বিভিন্ন মহলে এ বিষয়টি নিয়ে যুক্তিতর্ক চললেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। অপরদিকে, উত্তর কোরিয়া বিষয়টিকে 'অবৈধ অবিভাসনের চেষ্টা' হিসেবে বিবেচনা করেছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, ট্রাভিস পিয়ংইয়ংকে জানিয়েছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমাজব্যবস্থার বৈষম্য থেকে বাঁচার জন্য উত্তর কোরিয়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন।

কেসিএনএ আরও জানায়, উত্তর কোরিয়া ট্রাভিসের সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনার তদন্ত শেষে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত মাসে  পিয়ংইয়ং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মার্কিন সেনাবাহিনীর 'অমানবিক দুর্ব্যবহার ও বর্ণবাদী আচরণের' শিকার হয়ে ট্রাভিস উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে এসেছেন।

সুইডেন সরকার মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উত্তর কোরিয়া থেকে ট্রাভিসকে উদ্ধার করে চীনে নিয়ে আসে। উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনীতিক উপস্থিতি না থাকায় সুইডেন দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বিষয়ের ব্যবস্থাপনা করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের জানান, ট্রাভিসের সঙ্গে চীনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নস এর দেখা হয়েছে।

সুইডেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মিলার আরও বলেন, ট্রাভিস সুস্থ আছেন এবং তিনি দেশে ফেরার সুযোগ পেয়ে 'অত্যন্ত আনন্দিত'। তিনি উত্তর কোরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, বেশ কয়েক মাসের কূটনীতিক তৎপরতার ফলে ট্রাভিস মুক্তি পেলেন। তবে তার মুক্তির বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে কোনো ধরনের সুবিধা দিতে হয়নি, জানান তারা।

তবে এ ঘটনাকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখছেন না মিলার। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় চীনের ভূমিকাও ন্যুনতম। দেশটি শুধু ট্রানজিট পয়েন্টের ভূমিকা রেখেছে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, দেশের ফেরার পর ট্রাভিসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে তাকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হবে কী না, এ প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

অপর এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাভিসকে টেক্সাসের ব্রুক আর্মি মেডিকাল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

1h ago