চীনের ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির শুল্ক ৪ গুণ বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করল যুক্তরাষ্ট্র

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

চীনের বেশ কিছু পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইলেকট্রিক গাড়ি, ব্যাটারি, ইস্পাত ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপকরণ আমদানিতে নতুন শুল্কের হার প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কর্মকর্তারা এই ঘোষণা দেওয়ার সময় সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেন।

এ বছরই ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর শুল্কের হার প্রায় চার গুণ বেড়ে ১০০ শতাংশ হতে যাচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আগামী বছরে বর্তমান ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হতে যাচ্ছে।

চীনকে 'প্রযুক্তির আদানপ্রদান, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও উদ্ভাবনের' ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে বাধ্য করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক রেষারেষির অংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বসান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে বাড়তে যাচ্ছে শুল্ক। 

ইভি ও সেমিকন্ডাক্টরের পাশাপাশি ওয়াশিংটন কিছু ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যে শুল্ক তিন গুণ বাড়াচ্ছে। লিথিয়াম -আয়ন ব্যাটারি ও ব্যাটারির যন্ত্রাংশেও বাড়ছে শুল্ক।

প্রাকৃতিক গ্রাফাইট ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপকরণের আমদানি এতদিন শুল্কমুক্ত থাকলেও এখন এগুলোতে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। সৌর সেলের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের নেতা শি জিনপিং। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের নেতা শি জিনপিং। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কিছু কিছু শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে প্রযোজ্য হচ্ছে না।

ইভি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সক্ষমতা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলেই তবে চীনের ওপর শুল্ক প্রযোজ্য হবে। নাম না প্রকাশের শর্তে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য জানান।

নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে বেইজিং এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা 'বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার লঙ্ঘন করে একপাক্ষিক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছে।'

বেইজিং এর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার জানান, চীন 'তাদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago