নোয়াখালীতে গণধর্ষণ মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ অভিযোগের মামলায় সোহেল ও স্বপন নামের আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও বুধবার দুপুরে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ অভিযোগের মামলায় সোহেল ও স্বপন নামের আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও বুধবার দুপুরে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামী স্বপনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে সোহেল মামলার এক নম্বর আসামি।

এ নিয়ে মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

সুবর্ণচরে গত ৩১ ডিসেম্বর চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ অভিযোগের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে অভিযুক্তদের তালিকায় সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমীনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যাকে ধর্ষণের নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নির্যাতিতা নিজেই।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ বছরের ওই নারী গত ৩১ ডিসেম্বর অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় রুহুল আমীনের নির্দেশে তার  ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

রুহুল আমিন নিজেকে সুবর্ণচর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন।

আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ‘গণধর্ষণ’: ‘নির্দেশদাতাকে’ বাদ দিয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এদিকে গণধর্ষষের ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নোয়াখালী আসেন। তারা হাসপাতালে ওই নারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচারক আল- মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তারা তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন।

আইন ও সালিস কেন্দ্রের তিন সদস্যে একটি তদন্ত দলও হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সঠিক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আলামত নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় আগামী দুই-এক দিনে মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ৪ সন্তানের মাকে ‘আওয়ামী লীগ কর্মীদের গণধর্ষণ’

উল্লেখ্য, গণধর্ষণ মামলার আর্জিতে বলা হয় সোমবার গভীর রাতে বাদী তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরে অবস্থান করছিলেন। এসময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নাম ধরে ডাক দিলে পরিচিত লোক ভেবে তার স্ত্রী দরজা খুলে দেন। দরজা খোলা মাত্রই আসামিগণ জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তাকে এবং স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে এবং তার সন্তানদের হাত ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে পুকুরপাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus's 'Reset Button' call was not about erasing Bangladesh's proud history: CA office

He meant resetting the software, not the hardware created by 1971 Liberation War, statement says

2h ago