নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচার্চ : বদলালো না ব্যাটিংয়ের দশা

নেপিয়ার থেকে ক্রাইশ্চার্চে। শীতল হাওয়ার দাপট বেড়েছে, কন্ডিশনকে প্রথম চ্যালেঞ্জ মানা বাংলাদেশ পেয়েছে আরও কঠিন পরিস্থিতি। এদিন টস ভাগ্যও আসেনি পক্ষে। প্রতিকূলতা জেতার মানসিকতাও দেখাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। একটু এদিক সেদিক করে ঠিক আগের ম্যাচের মতই যেন সবই হয়েছে পুনরাবৃত্তি। বলা উচিত ভুলের পুনরাবৃত্তি।
Mahmudullah
ছবি: এএফপি

নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচার্চ । শীতল হাওয়ার দাপট বেড়েছে, কন্ডিশনকে প্রথম চ্যালেঞ্জ মানা বাংলাদেশ পেয়েছে আরও কঠিন পরিস্থিতি। এদিন টস ভাগ্যও আসেনি পক্ষে। প্রতিকূলতা জেতার মানসিকতাও দেখাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। একটু এদিক সেদিক করে ঠিক আগের ম্যাচের মতই যেন সবই হয়েছে পুনরাবৃত্তি। বলা উচিত ভুলের পুনরাবৃত্তি।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আগে ব্যাটিং পেয়ে ইনিংসে শেষ ওভারে মাত্র ২২৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে মোহাম্মদ মিঠুন করেন সর্বোচ্চ ৫৭ রান, সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান।

নেপিয়ারে ফুরফুরে হাওয়ায় আগে ব্যাট করে বড় রান করতে চেয়েছিলেন মাশরাফি মর্তুজা। সেটা না হওয়ায় হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে। ক্রাইস্টচার্চে ঠাণ্ডা কনকনে হাওয়া দেখে আগে বোলিং করতে চেয়েছিলেন তিনি। টস হেরে নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। এবং নিউজিল্যান্ডের মাঠে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যা হয়। সেটাই হয়েছে আরেকবার। পেস-স্যুয়িংয়ে কাঁপাকাঁপি এদিনও চলেছে। দৃষ্টিকটুভাবে আউটের মিছিলও থামেনি। 

প্রথম ম্যাচে ১ রানে আউট হয়েছিলেন লিটন দাস, এদিনও তাই। তামিম ইকবাল করেছিলেন ৫ রান, এদিনও তাই। সেদিনও সৌম্য সরকারের সাবলীল শুরু থামে বাজে শটে, আজও তাই।  মিল আছে মুশফিকুর রহিমের বেলাতেও। সেদিন স্টাম্পে বল টেনে বোল্ড হয়েছিল। ১ রানে একবার জীবন পেয়েও এবারও তার ইনিংস শেষ হয়েছে এভাবেই।

এত ভুল করতে থাকলে ডুবে মরা কেউ ঠেকাতে পারে না। তবু ফের চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। বড় মিলটা এখানেই। আগের ম্যাচের মতো আবারও দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হতে দেখা গেছে এই তরুণ ব্যাটসম্যানকে।

৪৮ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর উঠেছিলেন। যখন ফিরেন তখন দলের রান ১৬৮। এরমাঝে ৬৯ বলে মিঠুন ৭ চার আর ১ ছক্কায় করেন ৫৭।  উইকেট ছিল ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো। ক্রিজে গিয়েই হয়ত বুঝেছিলেন তিনি। কিন্তু দলের পরিস্থিতি যা ছিল তাতে দ্রুত রান বাড়ানো ছিল মুশকিল। মিঠুন তাই রয়েসয়ে খেলেছেন। ঝোপ বুঝে কোপ মারার মতো একদম আয়ত্তে বল পেলে তবেই উড়িয়েছেন। ৬ষ্ঠ উইকেটে সাব্বির রহমানের সঙ্গে এমন করেই গড়েন ৭৫ রানের জুটি।

লেগ স্পিনার টেড অ্যাস্টলকে ছক্কা মেরে ফিফটিতে পৌঁছার পর বেশিক্ষণ টেকেননি। পেশিতে টান পড়ে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন, ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে ওই লেগ স্পিনারের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন।

মাঝেসাঝে বাউন্ডারি আর প্রায়ই ডট বলের পসরা সাজিয়ে সাব্বির তবু দেখাচ্ছিলেন আশা। অনেকদিন থেকে ফিফটির দেখা না পাওয়া এই ব্যাটসম্যান দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর আভাস। ৪৩ রান করে তিনি থেমেছেন নিজের দোষেই। ফার্গুসেনের পেসে পয়েন্টে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার সংগ্রাম।

পুরো ইনিংসের হাইলাটসও এই দুজন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২২৬ (তামিম ৫ , লিটন ১, সৌম্য ২২, মুশফিক ২৪, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ ৭, সাব্বির ৪৩, মিরাজ ১৬, সাইফুদ্দিন ১০, মাশরাফি ১৩, মোস্তাফিজ  ৫* ; হেনরি ১/৩০,  বোল্ট ১/৪৯, গ্র্যান্ডহোম ১/২৫, ফার্গুসেন ৩/৪৩, অ্যাস্টল ২/৫২, নিশাম ২/২১)

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago