বিচারের বাণী সরবে কাঁদে

ত্বকীর বাবা বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুবার বলেছিলেন যে তিনি এই হত্যার বিচার করবেন। এক মাসে না হলে দুই মাস পরে, তা না হলে ছয় মাস পরে। কিন্তু, এখন ছয় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তা হলো না।
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ছবি: সংগৃহীত

এই কিশোর পৃথিবীতে এসেছিলো ১৯৯৫ সালের ৫ অক্টোবর। প্রকৌশলী হয়ে পৃথিবী আলোকিত করার স্বপ্ন ছিলো তার। হাঁটছিলো সঠিক পথেই। ‘এ’ লেভেল প্রথম পর্বের পরীক্ষায় সারা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর (২৯৭/৩০০), রসায়নে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর (২৯৪/৩০০) পেয়েছিলো সে। পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিলো ২০১৩ সালের ৭ মার্চ। এর একদিন আগে অর্থাৎ, ৬ মার্চ তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। সেই রেজাল্ট সে দেখে যেতে পারেনি।

বলছি ত্বকীর কথা, নারায়ণগঞ্জের ত্বকীর কথা।

বহু ঘটনার পর, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার কথা বলেছিলো।

কিন্তু, চার্জশিট দেওয়া হয়নি।

আবার ৬ মার্চ চলে এলো। ত্বকীর বাবা-মা প্রত্যাশা করে আছেন, নিশ্চয় ত্বকীকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে।

কী অবস্থায় আছে এখন ত্বকী হত্যার বিচার কার্যক্রম? কী ভাবছেন ত্বকীর বাবা?

মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের। তিনি বলেন, “তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়াটি এখন থেমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী দুবার বলেছিলেন যে তিনি এই হত্যার বিচার করবেন। এক মাসে না হলে দুই মাস পরে, তা না হলে ছয় মাস পরে। কিন্তু, এখন ছয় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তা হলো না। আমরা চাই তার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হোক।”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়- ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকালে পাঠাগারে যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে ত্বকীকে অপহরণ করা হলে সেই রাতেই তার বাবা রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বিষয়টি উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেন এবং র‌্যাব-১১ এর কার্যালয়ে চিঠি দেন।

এর দুদিন পর ৮ মার্চ সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর খালের পাড় থেকে পুলিশ ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে। সেই রাতেই ত্বকীর বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৮ মার্চ তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ত্বকী হত্যার জন্য শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি অবগতিপত্র দেন।

বাবা রফিউর রাব্বি ও মা রওনক রেহানার সঙ্গে ত্বকী। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল শামীম ওসমানের ভাই সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর জাতীয় সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ওসমান পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা জানানোর পর থেকেই ত্বকী হত্যার তদন্ত কার্যক্রম কার্যত থেমে যায় বলে জানান ত্বকীর বাবা। তার মন্তব্য, “এবার নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী সুবিচারের কথা বলছেন। এখন তিনি যদি নির্দেশ দেন তাহলে এর বিচার হবে, নয়তো হবে না।”

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপনি কোনো আবেদন করেছিলেন কী না? তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে সব সময়ই এই আবেদন জানিয়ে আসছি। বাস্তবতা হলো- প্রধানমন্ত্রী যা চান তাই হয়। যা চান না তা হয় না। সেই বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী যদি চান তাহলেই ত্বকী হত্যার বিচার হবে।”

তার মতে, “প্রথম দিকে প্রশাসন সক্রিয় থাকায় ত্বকী হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছিলো। ত্বকী হত্যার ১ বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ৫ মার্চ র‌্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে ত্বকী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। কারা-কখন-কোথা থেকে- কিভাবে ত্বকীকে অপহরণ করেছিলো, কারা-কোথায়-কিভাবে ত্বকীকে হত্যা করেছে, কোথা থেকে কোন গাড়িতে কোথায়-কারা লাশ ফেলেছে- তদন্তে সুনির্দিষ্ট করে সব কিছু বেরিয়ে এসেছিলো। দুজন হত্যাকারী ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বিস্তারিত বলেছে। হত্যাকাণ্ডের স্থান ও টর্চার সেল আবিষ্কার করেছে র‌্যাব। চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা প্রকাশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলন করে। কিন্তু, পরের মাসেই যখন প্রধানমন্ত্রী ওসমান পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির দিলেন তখনই সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।”

২০১৪ সালের ৮ মার্চ দৈনিক ‘প্রথম আলো’য় ‘আজমেরী ওসমানসহ হত্যায় জড়িত ১১জন’ শিরোনামে ও ‘শিগগিরই অভিযোগপত্র দিচ্ছে র‌্যাব’ উপশিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে র‌্যাবের তদন্ত ও সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিলো। ঐ সময় অন্যান্য প্রায় সকল গণমাধ্যমে র‌্যাবের তদন্ত ও সংবাদ সম্মেলনের তথ্য নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিলো, “... র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ত্বকী হত্যাকাণ্ডে আজমেরী ওসমানসহ ১১জনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেকোনো দিন এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

তদন্তের সঙ্গে যুক্ত র‌্যাবের কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। আর আওয়ামী লীগের নেতা শামীম ওসমান ছিলেন দলের সমর্থিত প্রার্থী। নির্বাচনে আইভীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন শামীম ওসমান। রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জের নাগরিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা।

এছাড়া, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের মালিকেরা ওসমানের পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করেন সেখানকার যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, রফিউর রাব্বিকে শায়েস্তা করতেই তাঁর কিশোর ছেলেকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়।

কর্নেল জিয়াউল আহসান ‘প্রথম আলো’কে বলেন, আজমেরীর পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও উপস্থিতিতেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততার তথ্য-প্রমাণ মেলেনি।

যারা অভিযুক্ত: তদন্তে আজমেরী ওসমান ছাড়া অন্য যাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা হলেন: রাজীব, কালাম শিকদার, মামুন, অপু, কাজল, শিপন, জামশেদ, ইউসুফ হোসেন, সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর ও তায়েবউদ্দিন ওরফে জ্যাকি।

২০১৪ সালের ৬ মার্চের দৈনিক সমকাল ও যুগান্তর এবং ৮ মার্চের প্রথম আলো।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আজমেরীসহ প্রথম সাতজন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন।”

এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আপনার যোগাযোগ হয়নি? রফিউর রাব্বি বলেন, “এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়- আপনি তো জানেন সবই। সব বোঝেন।”

“এই যখন পরিস্থিতি তখন সেখানে এই হত্যার বিচার কীভাবে হবে?”- প্রশ্ন ত্বকীর বাবার।

তিনি বলেন, “ত্বকী হত্যার বিচার চাওয়ায় শামীম ওসমান এবং তার ভাই (এখন প্রয়াত) নাসিম ওসমান আমাদের প্রতি এতোটাই আক্রমণাত্মক ছিলো যে তারা বলতো- আমাদের বাড়ি-ঘরের ইট খুলে নেওয়া হবে। পিঁপড়ার মতো পিষে মারা হবে। এরকমও বলেছে যে- আমাদের টুকরো টুকরো করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে মাছ দিয়ে খাওয়ানো হবে।”

প্রতি মাসে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ, সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে বলেও জানান তিনি। বলেন- “বিভিন্ন সময় আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে হামলার কথা। বলেন, “সেই অনুষ্ঠানে আমার প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিলো বলেই হামলা চালানো হয়েছিলো।”

ত্বকী হত্যার বিচারহীনতার ছয় বছরকে কেন্দ্র করে ৬ মার্চ পালিত হবে তিনদিনের কর্মসূচি। সকালে নিহত কিশোরের কবরে পুষ্পস্তবক দেওয়া হবে। বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউ এবং শেখ রাসেল পার্কে আয়োজন করা হবে শিশু সমাবেশ ও চিত্রাঙ্গণ প্রতিযোগিতা।

কর্মসূচির ২য় দিন (৭ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হবে ‘ত্বকী একটি বিচারহীনতার প্রতীক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক। শেষ দিনে (৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ত্বকীর বাবা বলেন, “আদালতে দুই-তিনমাস পর পর তারিখ পড়ে। যেহেতু অভিযোগপত্রই দেওয়া হয়নি সেহেতু সেই তারিখ দেওয়ায় কোনো লাভ হচ্ছে না। তদন্তে মামলাটির আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছিলো না বলেই আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২৮ মে উচ্চআদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আদেশ দেন র‌্যাবকে দিয়ে ত্বকী হত্যা মামলাটি তদন্ত করার। র‌্যাব তদন্ত করে সফলও হয়েছিলো। তারপর এতোগুলো বছর কেটে গেলো এর কোনো অগ্রগতি হলো না।”

হারমোনিয়াম নিয়ে সংগীত সাধনায় মেধাবী ছাত্র ত্বকী। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “আমরা চাই এই বিচারটি হোক।... কী কারণে, কেনো ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। আমরা চাই যে ত্বকী হত্যার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক না কোনো তার বিচার করা হোক।”

তিনি মনে করেন, “কোনো অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে হয়তো এটি (বিচার প্রক্রিয়া) থেমে আছে। কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে আমাদের আবেদন- যতো বড় শক্তিশালী কেউ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কোনো তার বিচার হোক।”

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, “আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্বকী হত্যাকারীদের পরিবারের সব দায়দায়িত্ব নিয়েছেন এবং জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন যে এ দায়িত্বটা (ওসমান পরিবারের পাশে থাকার) আমার। তাই যতোদিন উনি না চাইবেন ততোদিন ত্বকী হত্যার বিচার হবে না বলে আমি মনে করি।”

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভাগীয় প্রধান মাহবুবুর রহমান মাসুমের মন্তব্য, “ত্বকী হত্যা মামলার বিচারটি ঝুলে গেলো রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে- আর কিছুই না। প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে ওসমান পরিবারের পাশে তিনি আছেন তখন থেকেই বিচারটি ঝুলে গেলো। এর আগে তো খসড়া অভিযোগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।”

“প্রধানমন্ত্রীর সে কথার পরে বিচারপ্রক্রিয়াটি থেমে গেলো,” উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিবছর জেলায় জেলায় যে খুন-খারাবি হয় তার পরিসংখ্যান তুলে ধরি। আমরা সে সবের বিচারের জন্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে (ত্বকী হত্যার) যতোক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কোনো ক্লিয়ারেন্স না আসবে ততোক্ষণ পর্যন্ত এটা হবে বলে আমার মনে হয় না।”

এ বিষয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না। ডিটেলস দেখে বলতে হবে।”

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়েছে। তিনি ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি ফোন করেন। ত্বকী হত্যার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি টেলিফোনে এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। সামনাসামনি আসেন, কথা হবে।”

শামীম ওসমানের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার জন্যে সময় ঠিক করতে সকালে ডেইলি স্টারের নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ফোন করলে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের বাইরে আছি, ফিরে জানাব। তখন কথা হবে।” এরপর, বিকালে শামীম ওসমানের সঙ্গে আবারো ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করা হলেও, উত্তর পাওয়া যায়নি। ফলে, এমপির মতামত জানা সম্ভব হয়নি। তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হলে, তা প্রকাশ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago