প্রথম রাউন্ডে ‘ছুটি’ পেলেন মোস্তাফিজ, বিশ্রামে মিরাজও

লাল বল হাতে নিতে নাকি বড্ড অনীহা মোস্তাফিজুর রহমানের। এই পেসার টেস্ট খেলতে চান না বলে কথা চাউর আছে। যেখানে টেস্ট খেলতেই অনীহা সেখানে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলাটা তো তার জন্য বাড়তি বোঝাই হওয়ার কথা। তবে এবার নির্বাচকরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জাতীয় লিগে কোন ছুটিই না দেওয়ার কঠোর অবস্থানে ছিলেন। অন্তত প্রথম দুই রাউন্ডে তারকা ক্রিকেটারদের কোন ওজর-আপত্তি শুনবেন না বলেই জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু মোস্তাফিজ ঠিকই একটা ফাঁক বের করে আদায় করে নিয়েছেন ছুটি।
Mustafizur Rahman
মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: বিসিবি

লাল বল হাতে নিতে নাকি বড্ড অনীহা মোস্তাফিজুর রহমানের। এই পেসার টেস্ট খেলতে চান না বলে কথা চাউর আছে। যেখানে টেস্ট খেলতেই অনীহা সেখানে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলাটা তো তার জন্য বাড়তি বোঝাই হওয়ার কথা। তবে এবার নির্বাচকরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জাতীয় লিগে কোন ছুটিই না দেওয়ার কঠোর অবস্থানে ছিলেন। অন্তত প্রথম দুই রাউন্ডে তারকা ক্রিকেটারদের কোন ওজর-আপত্তি শুনবেন না বলেই জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু মোস্তাফিজ ঠিকই একটা ফাঁক বের করে আদায় করে নিয়েছেন ছুটি। 

কোন ধরণের চোট সমস্যা না থাকলেও জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে তাই মোস্তাফিজকে পাচ্ছে না খুলনা বিভাগ। দলের সঙ্গে যোগ না দিয়ে এই ম্যাচে পুরো ছুটিতে থাকছেন তিনি। শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের হয়ে টানা দুটি আনঅফিসিয়াল টেস্টে প্রচুর বোলিং করে আসায় প্রথম ম্যাচে নেই মেহেদী হাসান মিরাজও।

খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ইমদাদুল বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান তাদের তারকাদের হালচাল, ‘মোটামুটি সবাই আছে, শেষ মুহূর্তে মোস্তাফিজ খেলতে পারছে না। জাতীয় দলের ফিজিও ওকে অনুমতি দেয় নাই। আশা করছি পরের ম্যাচে তাকে পাব।’

মাত্র দু’দিন আগে ঘোষিত হয় জাতীয় লিগের স্কোয়াড। যাতে খুলনার ১৪ জনের দলে ছিলেন মোস্তাফিজ। তখনো তার না খেলার কোন কথা শোনা যায়নি।  এমনকি মঙ্গলবার জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে বিমানবন্দরেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গিয়েই শুনতে পান, তাকে যেতে হচ্ছে না খুলনায়।

শেষ মুহূর্তে তার দলে যোগ না দেওয়ার কথা জানান কোচ ইমদাদুল, ‘ও দলের সঙ্গে নেই। কাল যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কালই জানিয়েছে উনারা (খেলতে পারবে না)।’

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে ফিজিও জুলিয়ান ক্যালিফাতোর সঙ্গে দেখা করেন মোস্তাফিজ। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের কথা বলে ফিজিও ক্যালিফাতোর মেইল পান নির্বাচক হাবিবুল বাশার, তিনি নিশ্চিত করেন কোন চোট নয় ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণেই পাওয়া যাচ্ছে না মোস্তাফিজকে, ‘মোস্তাফিজের ব্যাপারে কাল একটা মেইল আসছে জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ানের কাছ থেকে। বলছে যে ও একটু ইনজুরি ছিল। ইনজুরি থেকে উঠে আসার পর এই মুহূর্তে ম্যাচ খেলার জন্য যে ওয়ার্ক লোড নেওয়া দরকার সেটা পর্যাপ্ত আসেনি। যার জন্য ও ম্যাচটা খেলতে পারছে না। পরের ম্যাচ খেলবে।’

প্রশ্ন উঠেছে এখানেই। নতুন কোন চোট পাননি। যে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের কথা বলা হচ্ছে সাধারণত এসব কথা ভাবা হয় আগেই। খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে বিমানবন্দরে চলে যাওয়া ক্রিকেটার কি আসলেই কেবল ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের জন্যই খেলছেন না?

জানা গেছে, শুরু থেকেই জাতীয় লিগে দুটি রাউন্ডে খেলতে আপত্তি ছিল মোস্তাফিজের। ভারত সফরের ক্যাম্প শুরুর আগে কেবল এক রাউন্ড খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও নির্বাচকদের চাওয়া ছিল ভারত সফরের আগে জাতীয় লিগের অন্তত দুই রাউন্ড খেলুক সবাই। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজের চাওয়াই পূরণ হয়েছে।

মোস্তাফিজ ছাড়াও প্রথম রাউন্ডে পাওয়া যাচ্ছে না মিরাজকে। শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১২০ ওভার বল করেছেন মিরাজ। মঙ্গলবারই এসেছেন দেশে। টানা বোলিং করা আর ভ্রমণ ক্লান্তি কাটাতে তাকে বিশ্রামের কথা জানালেন হাবিবুল, ‘মিরাজের বিশ্রাম দেওয়াটা কারণ ও শ্রীলঙ্কায় টানা দুটো চারদিনের ম্যাচ খেলছে। অনেক বোলিং করছে। সেকারণে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বাকিরা সবাই খেলবে।’

জাতীয় লিগ এলেই তারকা ক্রিকেটাররা নানান অজুহাত তৈরি করে খেলা থেকে বিরত থাকতে চান। এবার সে সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার দৃঢ় প্রত্যয় ছিল নির্বাচকদের। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে যাওয়ায় সাকিব আল হাসান খেলবেন না কোন রাউন্ড। বাকিদের মধ্যে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা সবাই থাকছেন শুরু থেকেই। কিন্তু গুরুতর কোন কারণ ছাড়া মোস্তাফিজের না খেলা নির্বাচকদের দৃঢ় অবস্থানকে কিছুটা নাড়িয়ে দিয়েছে।



জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের কার খেলা কোথায়



তারিখ- ১০ অক্টোবর ( ম্যাচ শুরু সকাল সাড়ে নয়টা)



ঢাকা মেট্রো- চট্টগ্রাম বিভাগ (মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম)



ঢাকা বিভাগ-রাজশাহী বিভাগ (ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়াম)



সিলেট বিভাগ-বরিশাল বিভাগ (শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, রাজশাহী)



খুলনা বিভাগ- রংপুর বিভাগ (শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা) 

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

6h ago