নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসিতে মিছিল, পাল্টা মিছিল

আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সেরকম পরিবেশই বিরাজ করছে গত দুদিন থেকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এফডিসিতে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মিছিল ও পাল্টা মিছিল।
১৬ অক্টোবর ২০১৯, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচারণা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সেরকম পরিবেশই বিরাজ করছে গত দুদিন থেকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এফডিসিতে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মিছিল ও পাল্টা মিছিল।

যদিও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ইতিহাসে এমনটি আগে কখনো কেউ দেখেননি বলে জানিয়েছেন।

গতকাল (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর এফডিসিতে আসেন এবারের শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি এফডিসিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তার সমর্থক শিল্পীরা তাকে নিয়ে শুরু করেন মিছিল।

মিছিলটি এফডিসির ভেতরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে স্লোগান দেয়।

একই সময় মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের সমর্থকরা এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল শুরু করেন। দুটি মিছিল থেকেই বেশ উত্তেজনাকর স্লোগান দেন দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকেরা।

এক পর্যায়ে মৌসুমী ও তার সমর্থকেরা বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সামনে এসে অবস্থান নেন এবং সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্যদিকে, মিশা সওদাগর ও তার সমর্থকরা শিল্পী সমিতির সামনে অবস্থান নেন।

সভাপতি পদপ্রার্থী মৌসুমী বলেন, “আমরা ভোট চাইছি। সেজন্য আমার সমর্থক শিল্পীরা আমাকে নিয়ে ভোট চেয়ে মিছিল করছেন।”

মিশা সওদাগর মিছিল শেষ করে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি বলেন, “সেদিন মৌসুমীর সাথে ড্যানি রাজের যা হয়েছে তার জন্য ড্যানি রাজ ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যদিকে, মৌসুমীর কাছে যারা এসেছিলেন তারা বহিরাগত।”

বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল করছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, “আমার সাথে যারা আছেন তারা কেউ বহিরাগত নন। তারা অনেক বছর ধরে শিল্পী সমিতির সদস্য। তারা পূর্ণাঙ্গ সদস্য ছিলেন, তাদেরকে ভোটারতালিকা থেকে বাদ দিয়ে সহযোগী সদস্য করা হয়েছে। এখন তারা আমার পক্ষে ভোট চাইছেন। তাদের বিশ্বাস, আমি পাশ করলে তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবেন।”

এদিকে এফডিসিতে রাত দশটার পর কোনো প্রার্থী ভোট চাওয়ার জন্য থাকতে পারবেন না- এমনটি বলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে।

এছাড়া, এফডিসিতে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে দায়িত্ব পালন করতে আসা পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোনো বহিরাগত পেয়েছেন কী না? তিনি বলেন, “আমরা কোনো বহিরাগত পাইনি।”

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যেভাবে দুই পক্ষ সন্ধ্যার পর মিছিল ও পাল্টা মিছিল করছেন, তাতে যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।

সেই সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যেভাবে শিল্পীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে তা আগে কখনো দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ শিল্পী বলেন, “শিল্পীর কাজ অভিনয় করা, নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা নয়। এফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যা হচ্ছে তা পুরো চলচ্চিত্র শিল্পী সমাজ এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার ওপরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago