দিল্লিতে নিঃশ্বাসের খোঁজে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ক্রিকেটে গুমোট হাওয়া। ঠিক দিল্লিতে কুয়াশার মতো জমাট হওয়া ভরপুর ধোঁয়ার মতো। ভারতে আসার তোড়জোড়ের মধ্যেই সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। তার ভুলেই কিংবা দোষেও বলা চলে। তামিম ইকবাল তারও আগে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন পরিবারের প্রয়োজনে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন, তা হাঁসফাঁস করছে। দিল্লিতে এসে ঠিক দুপুর বারোটায় কুয়াশার মতো ধোয়ার কুণ্ডলী দেখে আপনি যেমন হাঁসফাঁস করবেন- ঠিক তেমন।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে গুমোট হাওয়া। ঠিক দিল্লিতে কুয়াশার মতো জমাট হওয়া ভরপুর ধোঁয়ার মতো। ভারতে আসার তোড়জোড়ের মধ্যেই সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। তার ভুলেই কিংবা দোষেও বলা চলে। তামিম ইকবাল তারও আগে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন পরিবারের প্রয়োজনে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন, তা হাঁসফাঁস করছে। দিল্লিতে এসে ঠিক দুপুর বারোটায় কুয়াশার মতো ধোয়ার কুণ্ডলী দেখে আপনি যেমন হাঁসফাঁস করবেন- ঠিক তেমন।

শরীর নাকি মহাশয়। যা সওয়াবে, তা-ই সয়। দিল্লির এমন নাজুক আবহাওয়াও নাকি সয়ে গেছে বাংলাদেশ। অন্তত মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেনদের ভাষ্য তো এমনই, ‘চার দিন হয়ে গেছে ভাই, আর কি!’ তবে কি সাকিব আল হাসানের অমনভাবে ঝরে পড়ার ক্ষতও সয়ে যাচ্ছে লাল-সবুজের ড্রেসিং রুম?

সাকিবকে যতটা দাম দেওয়া যায় তা দিয়ে এই সিরিজে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও শোনালেন এরকম কথাই। ক্ষত আছে বটে, তবে সে ক্ষত ভালোবাসার দামে মেটানো হবে পরে। আপাতত ক্ষতির দিকটা পুষে অস্বস্তি বাড়িয়ে ডুবে মরার কোনো চিন্তা নেই।

অধিনায়ক স্পষ্টই আভাস দিলেন। অস্বস্তি তাড়িয়ে তার দল নিঃশ্বাস নিতে চায়, ফুরফুরে হাওয়া ঢোকাতে চায় ফুসফুসে। সেরা অস্ত্র হাতছাড়া হয়ে গেছে বটে। নির্বাসনে চলে গেছে প্রিয়মুখ। তাতে কি! জীবন তো নিষ্ঠুর সুন্দর। যেকোনো পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোই তার আদি আকৃত্তিম চরিত্র।

ফিরোজ শাহ কোটলা কিংবা অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ প্রবল। বুক ফুলিয়ে চলা তাদের সবখানেই। বাড়ির উঠানে সে বুক আরও চওড়া হয় নিশ্চয়ই। বাঁকানো গোঁফের মতো একটা ভয়াল মূর্তি তো আছেই। কিন্তু তাতে কি! যারা জরাজীর্ণ, দেয়ালে পিঠ ঠেকা, বাঁচার জন্য তাগিদটা যাদের প্রবল, তাদের অতো মাতুব্বরির দিকে চোখ রাখার সুযোগ কোথায়? তারা সামনে পাহাড় থাকলেও তা ঠেলে সরিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চায়। বাংলাদেশ দলের অবস্থাও তো তা-ই।

নতুন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে মুখস্থের মতো এসব অনেক কিছুই বললেন। কোনো কোনোটা মনের ভেতরের জমানো আগুন থেকে বেরিয়েছে ঠাহর করতে অসুবিধা হওয়ার কথা না। হ্যাঁ, ভারতকে তাদেরই উঠানে হারিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ। সেটা প্রতিপক্ষকে কাবু করার জন্য নয়, চূড়ান্ত দমবন্ধ সময়ে একটু যে নিঃশ্বাস নিতে চাওয়ার ইচ্ছা- তার জন্যই বেশি।

দিল্লিতে সন্ধ্যা বেলা ধোঁয়া কমে আসে। হাওয়াটা তখন কিছুটা স্বস্তির। ঠিক ওই সময়েই খেলতে নামতে যাওয়া বাংলাদেশের চাওয়া, দেশের ক্রিকেটে জমে থাকা সব ধুলো সরে গায়ে আসুক ফুরফুরে হাওয়া। আঁধার কাটুক দ্রুতলয়ে, আলো আসুক ঝলমলিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English
As things stand, Bangladesh election is all but doomed

244 aspirants to fight for 20 seats in Dhaka

A total of 21 aspirants, the highest of all seats, will contest for the Dhaka-5 constituency, which consists of areas of Demra and a part of Kadamtali

35m ago