‘নাটকে যা প্রকাশ করতে পারি না, তা ছবিতে প্রকাশ করি’

বিপাশা হায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন। তিনি দর্শক নন্দিত অভিনয় শিল্পী, একই সঙ্গে একজন চিত্রশিল্পীও। নাট্যকার হিসেবেও সফল। এখন অভিনয়ে সময় কম দিয়ে তিনি ছবি আঁকছেন বেশি। এছাড়াও, প্রথমবারের মতো সিনেমার জন্য একটি স্ক্রিপ্ট লিখছেন। এসব নিয়ে ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় বিপাশা হায়াতের।
Bipasha Hayat
বিপাশা হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বিপাশা হায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন। তিনি দর্শক নন্দিত অভিনয় শিল্পী, একই সঙ্গে একজন চিত্রশিল্পীও। নাট্যকার হিসেবেও সফল। এখন অভিনয়ে সময় কম দিয়ে তিনি ছবি আঁকছেন বেশি। এছাড়াও, প্রথমবারের মতো সিনেমার জন্য একটি স্ক্রিপ্ট লিখছেন। এসব নিয়ে ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় বিপাশা হায়াতের।

দীর্ঘ সময় ধরে শিল্পের পথে হাঁটছেন, শিল্পীজীবন বেছে নিয়েছেন। এই জীবন কেমন?

শিল্পীজীবন ভীষণ ভালো লাগে। শিল্প ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারি না। শিল্পের যে কোনো শাখা দিয়ে জীবনকে সুন্দর করা যায়। শিল্পের পথে থেকে প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন ভাবনা কাজ করে। শিল্পীজীবন সুন্দর করে উপভোগ করা যায়।

আপনি চারুকলায় পড়ালেখা করেছেন। ছবি আঁকেন, ছবি কি শুধু দেখার, না কী অন্যকিছু রয়েছে?

ছবি শুধু দেখার নয়, ছবিতে জিজ্ঞাসা থাকে। ছবিতে জিজ্ঞাসাটা রাখি। আবার যখন নাটক লিখি, সেই নাটক লেখার ভেতর দিয়ে দর্শকদের কাছে একটা জিজ্ঞাসা পৌঁছে দিতে চাই।

শিল্প তো মানুষকে পরিশুদ্ধ করে। মানুষ যখন শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তখন নেতিবাচক কাজগুলো কম হবে। দেখুন, একজন মানুষ যখন সিনেমা দেখেন, গান শুনেন, ছবি আঁকেন, অভিনয় করেন, তখন নেতিবাচক কিছু নিয়ে ভাবেন না।

বলা হচ্ছে সাহিত্যের প্রতি নতুন প্রজন্মের আকর্ষণ থাকছে না। তারা পড়তে চান না। আপনার কী ধারণা?

পড়ালেখাটা খুব দরকার। পড়ালেখা না করলে ব্রেনের ডেভেলপ হবে না। হোক কবিতা পড়া, হোক প্রবন্ধ বা গল্প-উপন্যাস পড়া। চারপাশে কী হচ্ছে জানতে হবে। সাহিত্য পড়াটা খুব জরুরি। পড়ার বিকল্প অন্যকিছু হতে পারে না। এখন মানুষের সামনে বহু কিছু রয়েছে। পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা কারণ কাজ করছে।

অভিনয়, ছবি আঁকা, নাটক লেখা কোন মাধ্যমকে কীভাবে দেখেন?

আমি ছবিতে যা প্রকাশ করতে পারি না, তা নাটক লিখে প্রকাশ করি। আবার নাটকে যা প্রকাশ করতে পারি না, তা ছবিতে প্রকাশ করি। আবার গল্প লিখে সেখানেও প্রকাশ করি। যারা সৃজনশীল কাজ করেন তাদের মূল লক্ষ্য থাকে দর্শক। দর্শকদের ঠকানো সহজ না। তারা অনেক খোঁজ রাখেন। সবকিছু তো আসলে মানুষের জন্য।

গল্প লিখছেন না অনেকদিন ধরে, সামনের বইমেলায় নতুন কিছু পাবেন পাঠকরা?

গেলো ঈদে আমার লেখা তিনটি নাটক প্রচার হয়েছিলো। এখন একটি নাটকের গল্প মাথায় এসেছে। ওটা নিয়ে ভাবছি। সামনে সময় করে লিখবো। আর গল্প অনেকদিন লিখি না। কিছু অনুভূতি আছে যা কী না গল্পের ভেতর দিয়ে প্রকাশ করা যায়। আসলে লিখতে চাই। সামনের বইমেলায় কিছু থাকছে না। তবে নতুন কিছু লিখছি।

নতুন কী লিখছেন?

প্রথমবারের মতো সিনেমার চিত্রনাট্য লিখছি। গেলো বছর থেকে সিনেমার গল্পটি মাথায় নিয়েছি। লিখতে শুরু করেছি গত অক্টোবর থেকে। আর এক সপ্তাহর মধ্যে শেষ করতে পারবো আশা করছি। শেষ করার পর কিছুদিন এটা এভাবেই থাকবে। এক মাস পর আবার পড়তে শুরু করবো এবং ঠিকঠাক করবো। আমি বলছি না আমার সিনেমার চিত্রনাট্যে কোনো বার্তা থাকবে। একেবারেই ফর্মেটের বাইরে গিয়ে একটি লেখা লিখছি।

একটা সময়ে টেলিভিশন নাটকে ও মঞ্চে নিয়মিত ছিলেন, আবারও কি মঞ্চে দেখা যাবে আপনাকে?

টিভি নাটক কমই করছি। মঞ্চ আসলে আমাকে এখনো টানে। আজও মঞ্চের কথা অনেকটা সময় ভেবেছি। ২০২০ সালে মঞ্চে ফিরবো প্রত্যাশা করছি। সেটি অভিনয় দিয়েই হবে তা বলছি না। কিন্তু মঞ্চে ফিরতে চাই। মঞ্চ টানে খুব করে।

Comments

The Daily Star  | English
No respite from heat wave for five days: BMD

Heat takes a toll on expecting mothers

The ongoing heatwave has exacerbated the challenges faced by everyone in the country, but the situation has become particularly difficult for expecting mothers.

54m ago