মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার
বিএনপির জন্য একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, উদ্ভাবনী ভাবনাসম্পন্ন ও ভবিষ্যতমুখী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এখনই উপযুক্ত সময়। তাদের হতে হবে জনআকাঙ্ক্ষা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নতুন প্রত্যাশা ও একবিংশ শতকের...
সংস্কার জরুরি হলেও সেটাকে নির্বাচন বিলম্বের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা উচিত না। সংস্কার যেমন জরুরি, তেমনি নির্বাচিত সরকারও জরুরি।
সশস্ত্র বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বা সেনাপ্রধান ক্ষমতা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন—এই অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এমনকি এ ধরনের তথ্য বা দূরবর্তী ইঙ্গিতও নেই।
দলের চেয়ে নেতা বড়, দেশের চেয়ে দল বড়—এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
ঠিক যেভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে কাউকে হত্যা করানো হয়, সেভাবেই ‘শিকারি সাংবাদিক’ ভাড়া করা হয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চরিত্র হননের জন্য।
গণমাধ্যম এখন নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর ফলে মিথ্যাচার, অর্ধ-সত্য ও বিকৃত তথ্যে সাধারণ পাঠক বিভ্রান্ত ও প্রতারিত হচ্ছেন।
আমরা যেমন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব বুঝি এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এগুলোকে কার্যকর দেখতে চাই, তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এসব সংস্থার যে অপব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি, সেগুলো...
জনগণ চায় সংস্কারের এই সুবর্ণ সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। তবে দেশের মানুষ বর্তমান পরিস্থিতির জটিলতা সম্পর্কেও সচেতন এবং তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও আইনি পরিবেশ।
ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় জ্ঞান যদি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়, তাহলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৈশ্বিক নাগরিকরা দেশকে সেই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
দেশে এখন কিছু মৌলিক রূপান্তর ঘটতে যাচ্ছে। আমরা একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন বা পুরোনোটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু অর্থনীতির ক্ষেত্রেও সে ধরনের পরিবর্তন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা চোখে পড়ছে না।
সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং যে বিষয়ে তিনি আমাদের সহায়তা চেয়েছেন, তা হলো—জাতিকে একতাবদ্ধ করা। তিনি অনুভব করেছেন এবং আমরাও তার সঙ্গে একমত যে, আমরা এখন বিপজ্জনকভাবে বিভাজিত এবং শিগগির এই পরিস্থিতির পরিবর্তন...
বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম যেন আর কখনোই ফিরে না আসে।
কিছু ঘটনায় হিতে-বিপরীত হচ্ছে
আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমরা কীভাবে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করব।
নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে চাচ্ছে না সরকার।
ক্ষমতাসীনরা যা বলে এবং জনগণ যা বিশ্বাস করে, তা এক নাও হতে পারে।
কেবলমাত্র অহমিকা ও নিশ্চিত দায়মুক্তি ছাড়া আর কোনোভাবেই এই হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেওয়া সম্ভব না।
অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দুটি সংবাদপত্রের গোড়াপত্তন ও অব্যাহত সাফল্যের ইতিহাসে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।