ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ১৬০০ কোটি টাকা লুট হয়েছে, পদত্যাগের পর ইব্রাহিম খালেদ

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে হাইকোর্টের নির্দেশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২৫ দিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি আজ সোমবার চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
Khandaker Ibrahim Khaled
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে হাইকোর্টের নির্দেশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২৫ দিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি আজ সোমবার চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

তিনি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগের পর ইব্রাহিম খালেদ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে। ওখানকার স্ট্রেসফুল সিচুয়েশনে আমার ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সম্ভব না। এ কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।’

‘সেই সঙ্গে গত ২৫ তারিখ (ফেব্রুয়ারি) আইএলএফএসএল এর ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি।’

‘ব্যাংকিং বা ম্যানেজমেন্ট সমস্যা হলে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সেটা সারিয়ে তুলতে পারি। যেমন, ২০০০ সালের প্রথম দিকে পূবালী ব্যাংক রুগ্ন  ব্যাংক হয়ে গিয়েছিল। আমি জয়েন করে সেটাকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলাম।’

‘কিন্তু, আইএলএফএসএল সে ধরনের না। এখানকার সমস্যা ব্যাংকিংয়েরও না, ম্যানেজমেন্টেরও না। এখানকার সমস্যা হলো— টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। এখানে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার লোন থেকে ১৬০০ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এটি করেছে পিকে হালদার নামের এক ব্যক্তি ও তার গ্রুপ।’

‘২০১৫ সালের দিকে আইএলএফএসএল এর চেয়ারম্যান হিসেবে মাহবুব জামিল ছিলেন। তিনি একজন ভালো চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন এটি একটি প্রথম সারির অরগানাইজেশন ছিল। পিকে গ্রুপ তাকে সেখান থেকে বের করে দিয়ে সংস্থাটি দখল করে। এর বোর্ড ও ম্যানেজমেন্ট বদলে ফেলে। সেখানে নিজস্ব লোকজন বসায়। তারপর সেখান থেকে ১,৬০০ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’

‘সে (পিকে হালদার) কানাডা চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে টাকা কানাডায় পাচার হয়ে গেছে। লুট করা টাকা যদি দেশের বাইরে চলে যায় তাহলে তা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। আমাদের মতো সাধারণ লোকের পক্ষে এটা সম্ভব না।’

‘এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক হলো রেগুলেটর। আদালত তো রেগুলেটর না। আদালত হয়তো আমাকে দিয়েছিলেন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে। আমি সেখানে ক্ষমতাহীন চেয়ারম্যান ছিলাম। সেজন্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টেপিং করা দরকার।’

‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করে এবং দুদককে দিয়ে (টাকা লুটের বিষয়ে) তদন্ত করায় তাহলে সেটিই সঠিক পদক্ষেপ হবে।’

‘আমি এখানে চেয়ারম্যান হিসেবে ২৫ দিন ছিলাম। এর ভেতরের কথা কেউ আমাকে বলেনি। এটা আমাকে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে আবিষ্কার করতে হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago