দেশে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক ৩০৪ জন, নার্স ১৯০ জন

দেশে আজ শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৩০৪ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটি (এফডিএসআর)।

দেশে আজ শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৩০৪ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটি (এফডিএসআর)।

আজ সন্ধ্যায় সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩, খুলনা বিভাগে আট, বরিশাল বিভাগে আট, সিলেট বিভাগে চার এবং রংপুর বিভাগে তিন জন রয়েছেন।’

‘এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯০ জন নার্স করোনা আক্রান্ত’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে ১১৪ জন নার্স সরকারি ও ৭৬ জন নার্স বেসরকারি হাসপাতালের।’

এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়া ও টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য মেডিকেল স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের সংখ্যা জানার পদ্ধতি সম্পর্কে ডা. রাহাত বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব সূত্র থেকে এগুলো জানতে পেরেছি। এছাড়াও, অনেক চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে আমাদের এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে থাকেন।’

‘নার্সদের আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ আমরা সাধারণত তাদের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে জেনে থাকি,’ যোগ করেন তিনি।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যেসব হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্যে ডেডিকেটেড সেখানে চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য মেডিকেল স্টাফদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কম। যেসব হাসপাতালে সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তরা ভর্তি হয়েছেন অথচ সেখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে এবং নিম্নমানের সুরক্ষা সরঞ্জামের কারণে চিকিৎসক ও অন্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’

‘রোগীদের তথ্য গোপন করার কারণেও চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য মেডিকেল স্টাফরা আক্রান্ত হচ্ছেন’ বলে যোগ করেন তিনি।

তিনি মনে করেন, ‘যেসব চিকিৎসক বা মেডিকেল স্টাফ করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে রেড জোন থেকে বের হয়ে গ্রিন জোনে এসে অন্যদের সঙ্গে মিশছেন তারা যদি নিজেদের যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত না করে থাকেন তাহলে তাদের মাধ্যমেও তাদের সহকর্মীরা আক্রান্ত হতে পারেন।’

হাসপাতালগুলোতে ডিজইনফেকশন করার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

Comments