আখাউড়া-লাকসাম রেললাইন সম্প্রসারণ

রেলওয়ে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দুর্নীতির মামলা দায়ের হওয়ায় আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্প থেকে এর পরিচালক মো. রমজান আলীকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে নির্দেশনা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

দুর্নীতির মামলা দায়ের হওয়ায় আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্প থেকে এর পরিচালক মো. রমজান আলীকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে নির্দেশনা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) নির্দেশনা পেয়েই মন্ত্রণালয় এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

গত আগস্টে মো. রমজান আলী ও তার স্ত্রী দিলরুবা পারভিন এলোরার বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে আয়ের উৎসের বাইরে প্রায় চার কোটি ২৮ লাখ টাকা থাকার অভিযোগে এই মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামছুজ্জামান গতকাল সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা তাকে সরিয়ে দেবো (পদ থেকে)।’

তার বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘সেটা দুদকের (মামলার রায়ের) ওপর নির্ভর করবে।’

মো. রমজান আলীকে কয়েক মাস আগে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্পের পরিচালক করা হয়। এর আগে তিনি খুলনা-মংলা রেল লিংক প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন।

প্রকল্প পরিচালক হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত ১৬ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকীর দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় রমজান আলীকে খুলনা-মংলা রেল লিংক প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার নথি অনুসারে, তিনি ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা আয় করেছেন। তবে, কখন এবং কার কাছ থেকে তিনি ঘুষ নিয়েছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষে।

২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে দুই কোটি ৪৮ লাখ টাকা আয় করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মামলার নথি অনুযায়ী, এই আয়ের মধ্যে প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা অপ্রদর্শিত খাত থেকে এসেছে।

রেল সূত্রে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজিকে একটি চিঠি দিয়ে আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্পে নতুন পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠাতে বলেছে।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঋণে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আখাউড়া-লাকসাম রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। খুলনা-মংলা রেল লিংক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে ভারতীয় ঋণে।

এ বিষয়ে মন্তব্যে জানতে রমজান আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি এবং মোবাইলে পাঠানো ম্যাসেজেরও উত্তর দেননি।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Mia, wife concealed assets in tax returns

When Asaduzzaman Mia retired as the longest-serving Dhaka Metropolitan Police commissioner in 2019, by his own admission, he went home with about Tk 1.75 crore in service benefits. But that does not give a true picture of his wealth accumulation. Fact is, the career cop and his family became muc

1h ago