এমআরটি-৬ সম্প্রসারণ প্রকল্প ব্যয় কমাতে জাপানের বিকল্প পরিকল্পনা

কমলাপুরে এমআরটি-৬ সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য একটি বিকল্প পরিকল্পনা বাংলাদেশকে দিয়েছে জাপান সরকারের গঠিত একটি প্যানেল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া নকশাটি দেশের প্রধান রেলস্টেশনটিকে সত্যিকারের পরিবহণ কেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনাকে গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তাদের মত।

কমলাপুরে এমআরটি-৬ সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য একটি বিকল্প পরিকল্পনা বাংলাদেশকে দিয়েছে জাপান সরকারের গঠিত একটি প্যানেল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া নকশাটি দেশের প্রধান রেলস্টেশনটিকে সত্যিকারের পরিবহণ কেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনাকে গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তাদের মত।

জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিকল্প পরিকল্পনাটি নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণ ব্যয়ও কমাবে।

সূত্র জানায়, জাপানের মন্ত্রণালয়টির গঠিত কমলাপুর মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব (এমএমটিএইচ) সাব ওয়ার্কিং গ্রুপ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজাকে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে এবং বিকল্প পরিকল্পনাটি সংযুক্ত করেছে।

বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)-কে জাপানের এই মন্ত্রণালয় লিখেছে, বিদ্যমান পরিকল্পনার তুলনায় সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপের বিকল্প পরিকল্পনা ব্যয় কমাবে।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-কে কাজ শুরু করার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার দুই মাস পর এই বিকল্প প্রস্তাবটি এলো।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে। ফোন না ধরায় তাকে ম্যাসেজও পাঠানো হয়। তবে, তার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার জাপানের মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় পিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজার কাছে। তিনিই পিপিপিএর একজন পরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন।

তবে, সঙ্গে সঙ্গে কোনও তথ্য দিতে পারেননি পরিচালক।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক জানান, তারা এ বিষয়ে কোনও চিঠি পাননি।

গত মঙ্গলবার তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেয়েছি এবং ইতোমধ্যে লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছি।’

এমআরটি-৬ দেশের প্রথম মেট্রো রেল। জাপানের সহজ শর্তের ঋণে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব প্রকল্পের আওতায় কমলাপুর হাব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

কাজিমা করপোরেশনের নেতৃত্বে জাপানের একটি কনসোর্টিয়াম ইতোমধ্যে রেলস্টেশনটিকে মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাবে পরিণত করার একটি রূপরেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নথি অনুযায়ী, জাপানের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার। গত বছরের মার্চ মাসে তৃতীয় বাংলাদেশ-জাপান যৌথ প্ল্যাটফর্ম বৈঠকে এর মূল ধারণাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে MRT-6 Extension to Kamalapur: Change plan, go for alternative

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago