রেলওয়েতে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ হাজার নিয়োগ হবে

বাংলাদেশ রেলওয়ের দীর্ঘদিনের জনবল সংকট অবশেষে নিরসন হতে যাচ্ছে। প্রায় তিন বছর পর জনবল নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান জানান, কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে আগামী পাঁচ বছরে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার জনশক্তি যুক্ত হবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে।

এই প্রক্রিয়া শুরু করতে ইতোমধ্যে তারা একটি বৈঠক করেছেন বলে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান শামসুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা স্টেশন মাস্টার, লোকো মাস্টার এবং গার্ডের মতো অতি প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ শুরু করব। নিয়োগ হবে অনলাইনে।’

কর্মকর্তারা জানান, ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের নন-গেজেটেড কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হবে সম্প্রতি অনুমোদিত নতুন নিয়োগ বিধি মোতাবেক। রেলওয়ের ১ম থেকে ৯ম গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার মাধ্যমে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তৈরি করা হবে নিয়োগ কমিটি।

আগের পদ্ধতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে অন্য কোনো সংস্থাকে জড়িত না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করত। তবে এ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে এবং এর জন্য অনেক সময় পত্রিকার শিরোনাম হতে হয়েছে রেলওয়েকে।

এছাড়া নতুন একটি জনবল কাঠামো পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। উন্নয়ন প্রকল্প এবং আইসিটি সম্পর্কিত বিষয় দেখাশোনার জন্য নতুন দুটি শাখাযুক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে রেলের নতুন অর্গানোগ্রাম। ইতোমধ্যে তা জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পেয়ে গেছে।

নতুন অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী রেলের মোট জনবল হবে ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন। যা বিদ্যমান পদের চেয়ে সাত হাজার ৩৬২টি বেশি।

কর্মকর্তারা জানান, অর্গানোগ্রামটি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আরও কিছু ধাপ পার করতে হবে। এর জন্য দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।

তবে, ইতোমধ্যে নতুন নিয়োগ বিধি কার্যকর হওয়ায় বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম অনুসরণ করে বাংলাদেশে রেলওয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে বলে জানান তারা।

ট্রেন চলাচলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত জনবলের বড় সংকট রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। বিদ্যমান ৪০ হাজার ২৭৫টি পদের মধ্যে চলতি বছর জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৫০টি পদ শূন্য ছিল। জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে প্রায় শতাধিক রেল স্টেশন।

অপরদিকে, নতুন এই জনবল নিয়োগের ফলে আরও আর্থিক চাপ বাড়বে রেলওয়ের ওপর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেলের লোকসান হয়েছিল এক হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে Manpower-starved railway hiring at last

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago