টিনশেড ঘরে থাকি, ঋণ বিষয়ে কিছু জানি না: পি কে হালদারের মামাতো ভাই

পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শঙ্খ বেপারী গতকাল মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছেন, তার মামাতো ভাই পি কে হালদার তার অজান্তেই তার নামে ৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
প্রশান্ত কুমার হালদার। ফাইল ছবি

পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শঙ্খ বেপারী গতকাল মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছেন, তার মামাতো ভাই পি কে হালদার তার অজান্তেই তার নামে ৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।

শঙ্খ বেপারীকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে হাজির করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থপাচার মামলার তদন্ত করছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দুদকের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জবানবন্দি রেকর্ড শেষে শঙ্খ বেপারীকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

পিরোজপুরে একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান চালান শঙ্খ। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, পি কে হালদার বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে বিভিন্ন কাগজপত্রে সই নিত। কিন্তু, কেন সই নিত, তা তিনি জানেন না। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে, পি কে হালদার তার অজান্তেই তার নামে ৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকা দিয়ে ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।

শঙ্খ আরও বলেন, তিনি এখনো পিরোজপুরের টিনশেডের বাড়িতে থাকেন, তিনি কোনো ঋণ নেননি এবং ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাটও কেনেননি।

গত ৪ জানুয়ারি উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শঙ্খ বেপারীকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরবর্তীতে ঢাকার একটি আদালতে হাজির করলে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। যদিও, তার নাম ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টে (এফআইআর) ছিল না।

অবৈধভাবে ২৭৫ কোটি টাকার সম্পদ আহরণ ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

আরও পড়ুন:

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির আহ্বান পুলিশের

দেশে ফেরা মাত্র পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ হাইকোর্টের

পি কে হালদারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

পি কে হালদারের অর্থ পাচার সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে তলব

পিকে হালদার আত্মসাত করেছেন ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago