বইমেলায় ছুটির দিনে মানুষ বেশি, বিক্রি কম
শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে বইমেলায় মানুষের ভিড় বেশি। সকালের চেয়ে বিকালে দর্শনার্থীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিক্রি কম।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বইমেলার প্রাঙ্গণে ঢুকতে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা ও হাত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় আসার কথা বারবার বলা হলেও মেলা প্রাঙ্গণে মাস্ক ছাড়া বা হাতে নিয়ে হাঁটতে দেখা যায় অনেককেই। পুরোটা সময় বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে মাস্ক পরে থাকতে।
বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। অনেককে দেখা গেল, গোল হয়ে আড্ডা দিতে। তবে এবারের মেলা আগের চেয়ে দ্বিগুণ জায়গা নিয়ে আয়োজন করায় হাঁটাচলার সুবিধা হয়েছে।
ফয়সাল আরেফিন দীপনের স্মৃতি বিজড়িত জাগৃতির প্রকাশক রাজিয়া রহমান জলি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মানুষ আসছে। কিন্তু ছুটির দিনে মেলায় এত কম বিক্রি জীবনেও দেখিনি। তবে অনেকের সঙ্গে কেবল বইমেলাতেই দেখা হয়, এটা ভালো লাগে। সামনের দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী, দেখা যাক কী হয়।’
কবি পিয়াস মজিদ বলেন, ‘এই মেলায় আমার পাঁচটি বই প্রকাশ পাচ্ছে। পাঠকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, ভালো লাগছে। আবার একটা আতঙ্কও কাজ করছে। এবার স্বাভাবিক সময়ের বইমেলা না। ফলে মেলার আনন্দ ও আতঙ্ক দুটিই সঙ্গী।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘মেলা আমাদের ঐতিহ্যর অংশ। কাজেই মেলা হওয়া উচিত। সবাইকে আহ্বান জানাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় আসতে। আমি এখনো যাইনি, যাবো। বধ্যভূমিতে বসন্ত বাতাস শিরোনামে আমার নতুন একটি বই আসবে অন্য প্রকাশ থেকে।’
বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মেলায় ৫৫টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা একাডেমিসহ মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বইমেলায় বই বিক্রি করবে ২৫ শতাংশ ছাড়ে।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিনে মেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
Comments