চলে গেলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক
দেশের স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক আর নেই। আজ রোববার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও মিতা হকের আত্মীয় রুনা খান ডেইলি স্টারকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মিতা হককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু, চার দিন আগে করোনার ফলাফল নেগেটিভ আসার পর তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ চলে গেলেন খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পী।
মিতা হককে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ বেলা ১১টায় ছায়ানটে তার মরদেহ নেওয়া হবে। এরপর কেরানীগঞ্জের বড়মনোহারিয়ায় বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলেও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মিতা হক প্রয়াত দর্শকপ্রিয় অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্যে মিতা হককে একুশে পদক দেওয়া হয় ২০২০ সালে। এর আগে ২০১৬ সালে তিনি শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
মিতা হক ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ‘সুরতীর্থ’ নামে তার একটি গানের স্কুল রয়েছে। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহসভাপতি ছিলেন।
মিতা হকের জন্ম ঢাকায় ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে। তার চাচা ওয়াহিদুল হক ছিলেন এ দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা-ব্যক্তি ও রবীন্দ্রগবেষক।
গত পাঁচ বছর ধরে মিতা হক কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
রবীন্দ্রসংগীত জগতে জনপ্রিয় এই শিল্পীর এককভাবে মুক্তি পাওয়া অ্যালবাম ২৪টি।
Comments