করোনায় সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফরিদ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন গীতিকবি ফরিদা ফারহানা। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফরিদ আহমেদ।

ফরিদা ফারহানা বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ফরিদ আহমেদ প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নেওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে। গত ১১ এপ্রিল থেকে সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন আজ তিনি মারা গেলেন।’

বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের সুরকার ফরিদ আহমেদ। দেশের অনেক নামী শিল্পী থেকে শুরু করে নতুনরাও তার সুর করা গান গেয়েছেন। কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ও লিটন অধিকারী রিন্টুর লেখা ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’ গানটির তারই সুর করা। রুনা লায়লার গাওয়া ‘ফেরারী সাইরেন’, সাবিনা ইয়াসমীন ও রুনা লায়লার গাওয়া ‘দলছুট প্রজাপতি’ গানটির সুরকারও তিনি।

কয়েক শ টিভি নাটকের টাইটেল সং সুর করেছেন ফরিদ আহমেদ। যার মধ্যে অনেকগুলোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হানিফ সংকেত পরিচালিত ইত্যাদির টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি চুপি’র সুরকারও তিনি। চ্যানেল আইয়ের ‘আজ জন্মদিন’, ‘ক্ষুদে গানরাজ’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’, ‘সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতাগুলোর থিম সংগুলোর সুরকারও ফরিদ আহমেদ।

২০১৭ সালে ‘তুমি রবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

স্কুলবন্ধু বায়েজীদের কাছে গিটারে হাতেখড়ি ফরিদ আহমেদের। বিখ্যাত শিল্পী ফিরোজ সাঁইয়ের হাত ধরে ফরিদ আহমেদ পেশাদার সংগীত জগতে পথচলা শুরু করেছিলেন। শুরুর দিকে তিনি গিটার বাজাতেন।

ফরিদ আহমেদের স্ত্রী শিউলি আক্তারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে, বর্তমানে তিনি করোনামুক্ত।

আরও পড়ুন:

আইসিইউতে সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ

Comments