খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রকৃত ও একটি জন্ম তারিখ নির্ধারণ করতে এ সংক্রান্ত নথি চেয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নথি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন জন্মতারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করেআইনজীবী মামুনুর রশিদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টসহ জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহারে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার। এ ছাড়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানিতে অংশ নেন।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বিবাহ নিবন্ধন অনুযায়ী ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ৮ মে। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করেন।