প্রকাশিত হলো রাশেদ খান মেননের আত্মজীবনী
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের আত্মজীবনীর ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয়’-এর প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়েছে।
আত্মজীবনীর প্রথম পর্ব বইটি প্রকাশ করেছে ‘বাতিঘর’ এবং বইটির প্রচ্ছদশিল্পী মাসুক হেলাল।
রোববার রাজধানীর হাতিরপুলের হামিদ প্লাজায় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ কার্যালয়ে লেখককে বইটির প্রথম কপি তুলে দেন বাতিঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর আহমদ রাশেদ। এসময়ে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন-নিউ এজের প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান বাদল, বাতিঘরের অপারেশন ম্যানেজার তারেক আবদুর রব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও মানোয়ার হোসেন।
‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয়’ বইটিতে ষাটের দশক থেকে শুরু করে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত লেখকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, আয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনাবলীতে লেখকের অংশগ্রহণ এই বইয়ের মূল প্রতিপ্রাদ্য হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে তুলে এনেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে জাতীয়তাবাদীদের ভূমিকার পাশাপাশি বামপন্থীদের ভূমিকার কথা।
রাশেদ খান মেনন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বইটি দীর্ঘদিন ধরে শেষ করব বলে বলে সময় করে উঠতে পারিনি। কিন্তু, করোনা আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও, আমাকে বইটি লেখার সুযোগ দিয়েছে।’
কবে থেকে বইটি লেখা শুরু করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময়টা ঠিক মনে নেই। তবে, অনেক দিন আগে স্মৃতিগুলো টুকে রেখেছিলাম। ২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একেবারে প্রস্তুতি নিয়েই লিখতে শুরু করি।’
বইটিতে কী কী বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনেক কিছু যুক্ত করতে চেয়েছিলাম, সময়ের অভাবে পারিনি। অবধারিতভাবে আছেন- মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর বাল্যজীবন, সত্তোরের নির্বাচন, একাত্তরের যুদ্ধ, স্বাধীনতাসহ গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়। বিশেষ করে আমাদের বিজয়ের পরে বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরলে তার সঙ আমার আলাপ, সেই স্মৃতিগুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এসেছে বামপন্থীদের বিভেদ-বিচ্ছিন্নতার কথা ও বামদলের ইতিবৃত্ত।
সব স্মৃতি মনে রাখতে পেরেছিলেন- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এতো উজ্জ্বল স্মৃতি ভুলি কী করে। সব পরিষ্কার মনে আছে। লেখার প্রথম দিকে মানোয়ার হোসেন কিছুটা সাহায্য করেছিল। পরে পুরোটাই আমি লিখেছি। দ্বিতীয় পর্বও লেখার পরিকল্পনা চলছে। তাতে আসবে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫। তারপর ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এই সময়ের স্মৃতি ও রাজনৈতিক ঘটনাবলী।’
উল্লেখ্য রাশেদ খান মেনন ১৯৪৩ সালের ১৮ মে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান মেননের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবা মরহুম বিচারপতি আবদুল জব্বার খান ও মা সালেহা খাতুন। ১৯৬৩-৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি ও ১৯৬৪-৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
Comments