এবার ৩ গুণ বেশি দর্শক অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছে

এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) ফলাফলে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি দর্শক টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছে।
টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘তিন শূন্য’ নিয়ে বক্তৃতা দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) ফলাফলে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি দর্শক টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছে।

সর্বোচ্চ টিআরপি ছিল- বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির দেওয়া 'অলিম্পিক লরেল' সম্মাননা গ্রহণের সময়।

টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রতি সেকেন্ডের টিআরপি হিসাব করেছে জাপানের তোশিবা কোম্পানি।

তোশিবার টিআরপি নিয়ে ইয়াহু নিউজে বলা হয়েছে, টোকিও অলিম্পিকের টিআরপি ছিল সাড়ে ৪২ শতাংশ, যেখানে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকের টিআরপি ছিল ১৪ দশমিক সাত শতাংশ।

এছাড়া ড. ইউনূসের 'তিন শূন্য' বিষয়ক বক্তৃতার সময় সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ টিআরপি ছিল।

ইয়াহু নিউজে আরও বলা হয়েছে, অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের আগে ভিটিআরের পক্ষ থেকে দর্শকদের বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, 'তিন শূন্য' অর্থাৎ শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য দারিদ্র্য ও শূন্য বেকারত্ব নিয়ে বলবেন ড. ইউনূস। এরপর ওই বক্তব্যের সময় সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্থাৎ ৪৭ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ দর্শক তা দেখেছেন।

ইয়াহু নিউজে বলা হয়েছে, জাপানের কান্ত অঞ্চলের পরিবারগুলোতে ব্যবহৃত ৩৪ লাখ টেলিভিশনের ওপর এই পর্যবেক্ষণ করে তোশিবা। যাদের মধ্যে ৪২ দশমিক দুই শতাংশ দর্শক টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছেন।

এছাড়া সুইস মিডিয়া ল্যাবের (এসএমএল) হিসাবে ৪৪ দশমিক ছয় শতাংশ দর্শক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছেন। তবে, দুটি জরিপেই দেখা গেছে দর্শক সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি।

ভিডিও রিসার্স (ভিআর)-এর মতে, এই সংখ্যা আরও বেশি। আগামী সোমবার ভিআরের জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের ফলাফল প্রায় ৫০ শতাংশ হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অর্জন ও জাপানিদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জাপানের কিয়ুসু ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক আশির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অলিম্পিকের মতো আসরে বাংলাদেশ এখনো স্বর্ণপদক অর্জন করতে পারেনি। সেই আসরে একজন বাংলাদেশিকে যে বিশাল সম্মাননা দেওয়া হলো, এজন্য একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমরা যারা বিদেশে থাকি, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হলেই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে ওঠে। সেই উচ্চারণটা যদি অলিম্পিকের মতো আসরে হয়, সেটা আরও বেশি গর্বের।'

আশির আহমেদ আরও বলেন, 'আগামী দিনে বিশ্ব কোন দিকে যাবে, সে বিষয়ে একজন বাঙালি দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেটা আমাদের জন্য আরও বেশি গর্বের। বাংলাদেশ নামটা অনেক উঁচু থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। তাই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে উঠেছে।'

ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে 'অলিম্পিক লরেল' সম্মাননা গ্রহণের পর বাংলাদেশি হিসেব তাকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন আশির আহমেদ।

Comments

The Daily Star  | English

History of student protests in the USA

American campuses -- home to some of the best and most prestigious universities in the world where numerous world leaders in politics and academia have spent their early years -- have a potent history of student movements that lead to drastic change

4h ago