দিল্লিতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টার

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারে আবারও ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ আছে দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারে আবারও ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) আজ সোমবার বিভিন্ন নীতিমালা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে জরুরি ব্যবহারের জন্য কোয়ারেন্টিন রুম চালু করা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা।

ডিডিএমএ'র প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী, লকডাউন জোনে থাকা ছাত্র ও শিক্ষকরা ক্লাসে আসতে পারবেন না। এ ছাড়াও, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে স্কুলে। যেমন: একটি নির্দিষ্ট দিনে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে আসতে পারবে না। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে স্কুলগুলোকে রুটিন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দিল্লির সরকার ঘোষণা দিয়েছিল স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস শুরু করতে পারবে। প্রথম পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে নবম থেকে দ্বাদশ স্ট্যান্ডার্ডের) শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে।

কোচিং সেন্টারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে, এখনও ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

দিল্লিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ায় পর্যায়ক্রমে স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত রোববার টানা চার দিন ধরে করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটায় এবং দিনে গড়ে মাত্র ৩২ জন করে নতুন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি এ সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করেছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বর্তমানে আক্রান্তের হার শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং এটি টানা তিন মাস ধরে এক শতাংশের নিচে আছে।

এ ছাড়াও, গত সাত দিনে গড় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩২।

দিল্লির স্কুলগুলো গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ আছে। এ বছরের জানুয়ারিতে অল্প সময়ের জন্য ক্লাস খোলা হলেও ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তা আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সোমবার সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৯০৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৯ জন। এ সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮০ জন এবং দেশটিতে মোট প্রাণহানীর সংখ্যা চার লাখ ৩৮ হাজার ২১০ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Taka to trade more freely by next month

Bangladesh will introduce a crawling peg system by next month to make the exchange rate more flexible and improve the foreign currency reserves, a key prescription from the International Monetary Fund.

2h ago