আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বছরেই ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ায়

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। প্রথম পর্যায়ে কেবল নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। প্রথম পর্যায়ে কেবল নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন।

গত বছরের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সময় অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সে দেশে আগমনের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

করোনা মহামারির আগে প্রায় আড়াই লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এই রাজ্যে পড়ার পাশাপাশি রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপার্জনের প্রতিনিধিত্ব করেছিল। রাজ্য সরকারের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ৫৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে ফেরার অপেক্ষা করছে।

এ বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বজুড়ে ৫০০ শিক্ষার্থীকে ২টি চার্টার্ড ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। পরিকল্পনা কমিটির নেতৃত্ব দেওয়া ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বার্নি গ্লোভার বলেছেন, 'এটি খুব ছোট প্রাথমিক উদ্যোগ। কিন্তু, এটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা আবার খুলে দিচ্ছি।'

পরিকল্পনা মতে, উড়োজাহাজের ভাড়া দেবে শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বহন করবে কোয়ারেন্টিনের খরচ।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়া কাউন্সিলের সভাপতি বেল লিম বলেছেন, 'মহামারির কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু, এখন তারা অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে আগ্রহী।'

২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে ৩৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ও নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছে।

এ ছাড়া, হাজারো প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন কাজ করে দেশটির বিশাল শ্রম চাহিদা পূরণ করে চলছে। শিক্ষার্থীদের অভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোও সংকটে পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে বিশ্বসেরা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বে মাথাপিছু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর অনুপাত সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতিতে অবদান ছাড়াও দেশটির জনসংখ্যার ওপর এর সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে। শিক্ষা শেষে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করায় তারা সেখানে দক্ষ শ্রম চাহিদাও পূরণ করে থাকে।

২০১৮ সালে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৯ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৭ সালে এর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭১ জন। প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ শতাংশ হারে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ভর্তি হওয়া কমপক্ষে ১০ শতাংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সেখানে ফেরার অপেক্ষা করছে। তারা দেশটির অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Taka to trade more freely by next month

Bangladesh will introduce a crawling peg system by next month to make the exchange rate more flexible and improve the foreign currency reserves, a key prescription from the International Monetary Fund.

44m ago