সাদামাটা মোস্তাফিজ, সাকিবদের কাছে বিশাল হারে বিদায় রাজস্থানের
উইকেটের ধরণের কারণে শারজাহর মাঠে এবার খুব বড় রান করতে পারছিল না কোন দলই। মোস্তাফিজুর রহমানদের সাদামাটা দিনে সেখানেই দারুণ ব্যাট করে বিশাল এক পুঁজি পেয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। পরে দুই পেসার শিভম মাভি আর লুকি ফার্গুসেনের তোপে বিধ্বস্ত হয়ে যায় রাজস্থানে ইনিংস।
বৃহস্পতিবার আইপিএলের প্লে অফের যাওয়ার সমীকরণের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৮৬ রানের বিশাল হারিয়েছে কলকাতা। এই হারে এবারের আইপিএল মিশন শেষ হয়ে গেছে মোস্তাফিজের দলের।
আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭১ রান করে কলকাতা। জবাবে মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় সঞ্জু স্যামসনরা।
এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব-মোস্তাফিজ। দুজনের দিনটি কেটেছে দুরকম। বল হাতে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। মাত্র ১ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েই ১ রান দিয়ে সাকিব নেন ১ উইকেট। এই ম্যাচ দিয়েই অবশ্য শেষ হচ্ছে তাদের আইপিএল মিশন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এরপরই তারা যোগ দেবেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে।
একপেশে এই ম্যাচে কলকতার বোলিং হিরো মিডিয়াম পেসার মাভি। ৩.১ ওভার করে ২১ রান দিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪ উইকেট। আরেক পেসার ফার্গুসেন ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
১৭২ রান তাড়ায় নেমে সাকিবের প্রথম ওভারেই ফিরে যান যশভি জয়সওয়াল। দ্রুত মেরে রান বের করার মনোভাব নিয়ে নামা এই ব্যাটসম্যান ৩ বল খেলেই বোল্ড হয়ে যান। ওই ওভারে সাকিব দেন মাত্র ১ রান।
পরের ওভারের প্রথম বলেই মাভি তুলে নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্যামসনকে। এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়ে যায় চতুর্থ ওভারে।
কিউই পেসার ফার্গুসেন এসে পর পর লিয়াম লিভিংস্টোন আর অঞ্জু রাওয়াতকে তুলে নেন। ১৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে রাজস্থান।
শিভম দুভে-গ্লেন ফিলিপসরা এই সংকট থেকে আর দলকে উত্তরণ করাতে পারেননি। ২০ বলে ১৮ করা দুভে বোল্ড হন মাভির বলে। ধুঁকতে থাকা ফিলিপস ১২ বলে ৮ করে একইভাবে টানেন সমাপ্তি। ব্যর্থতার মৌসুমে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন ক্রিস মরিস। রাহুল তেওয়াতিয়া (৩৬ বলে ৪৪ রান) ঝড় তুলে হারের ব্যবধান কমিয়ে দলের আক্ষেপই কেবল বাড়িয়েছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিল-ভেঙ্কেটেশ আইয়ার আনেন আরেকটি দারুণ শুরু। দুজনের ওপেনিং জুটিতেই শক্ত ভিত পেয়ে যায় কলকাতা। উইকেটে মন্থরতার কারণে অবশ্য তেমন আগ্রাসী হতে পারছিলেন না। তবে থিতু হতে জুতসই গতি আনতে সমস্যা হয়নি।
একাদশ ওভারে গিয়ে ভাঙ্গে ৭৯ রানের জুটি। রাহুল তেওয়াতিয়ার বলে বোল্ড হয়ে যান আইয়ার। আগ্রাসী মেজাজে ৫ বলে ১২ করে নিতিশ রানা ফেরার পর গিল চালিয়ে যান।
৪৪ বলে ৫৬ করে ক্রিস মরিসের শিকার হন তিনি। কলকাতার রান এরপর চড়া হয় রাহুল ত্রিপাঠি, দীনেশ কার্তিক ও ওয়েন মরগ্যানের ছোট তিন ইনিংসে। ত্রিপাঠি ১৪ বলে ২১, কার্তিক ১১ বলে ১৪ আর ১১ বলে ১৩ করেন মরগ্যান।
রাজস্থানেরর বোলাররাও করেন হতাশ। বেশ কিছু আলগা বল দিয়ে ব্যাটসম্যানদের মেরে খেলার সুযোগ করে দেন তারা।
Comments