‘ট্যাকটিকাল গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সাফল্যের দাবি উ. কোরিয়ার
একদিন আগে পরীক্ষামূলক ভাবে 'ট্যাকটিকাল গাইডেড' ক্ষেপণাস্ত্রটির নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
আজ মঙ্গলবার দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবারে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এর সুনান বিমানঘাঁটি থেকে পূর্ব দিকে ২টি কম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। এটি এই মাসে উত্তর কোরিয়ার ৪র্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, 'সুনির্দিষ্টভাবে, দেশে উৎপাদিত ও স্থাপিত ট্যাকটিকাল গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সক্ষমতা যাচাই করার জন্য এই পরীক্ষা চালানো হয়।'
তবে এই পরীক্ষার সময় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি কিম জং উন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
কেসিএনএর প্রকাশিত একটি ছবি থেকে জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার নাম কেএন-২৪, যেটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম) নামের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আদলে তৈরি। আরও জানা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে এটি লক্ষ্যবস্তুর দিকে সরাসরি না যেয়ে জটিল উড্ডয়নপথ অনুসরণ করে।
কেসিএনএ আরও জানায়, 'উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে দুটি ট্যাকটিকাল গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিল, যেগুলো নির্ভুলভাবে ডিপিআরকের (উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম দ্য ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া) পূর্ব সাগরের একটি দ্বীপে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করেছে।'
কেসিএনএ জানায়, উত্তর কোরিয়ার 'দ্য অ্যাকাডেমি অব ডিফেন্স সায়েন্স' নামের সংস্থা এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তারা 'উৎপাদনে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র প্রক্রিয়ার নির্ভুলতা, নিরাপত্তা ও উপযোগিতা নিশ্চিত করেছে', যোগ করে কেসিএনএ।
এর আগে, গত শুক্রবারে একটি রেলগাড়ি ভিত্তিক অবকাঠামো থেকে উত্তর কোরিয়া ২টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। এই পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগেই পিয়ংইয়ং থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে 'আরও শক্তিশালী ও সুনিশ্চিত প্রতিক্রিয়া' দেখানোর সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৫ ও ১১ জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার 'হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র' হিসেবে দাবি করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র (ডব্লিউএমডি) ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে কর্মরত ৬ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০১৯ এর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হ্যানয় সম্মেলনের পর থেকে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে।
সর্বশেষ ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪ মিনিটের মধ্যে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪২ কিমি উচ্চতায় থেকে ৩৮০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ।
Comments