তাড়াহুড়ো করে ত্রুটিপূর্ণ ইসি আইন প্রণয়ন কল্যাণকর হবে না: সাবেক সিইসি শামসুল হুদা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রস্তাবিত খসড়া আইনে অনেক অপূর্ণতা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে শুধু সার্চ কমিটি গঠনের জন্য আইন করা হবে। তাড়াহুড়ো করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না।
আজ শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এফডিসিতে 'গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে' শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক সিইসি বলেন, 'এই আইনটি যাতে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি ভালো আইনের জন্য প্রয়োজনে সময় নেওয়া যেতে পারে। তাড়াহুড়ো করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'সত্যিকার অর্থে বর্তমান সংসদে জনপ্রতিনিধিত্ব নেই। তাই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করা উচিত।'
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও অযোগ্যতার সুষ্পষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যাদের সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে বিবেচনায় না নেওয়া উচিত।'
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা কোনো দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তাদের আইনানুগ বিচার হওয়া উচিত। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই কোনো বিশেষ পদধারী ব্যক্তির অপরাধের বিচারের জন্য ইনডেমনিটি থাকা উচিত নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সদিচ্ছা থাকলে ভালো নির্বাচন করতে পারত। তাদের পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সুখকর না হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অধিকতর গ্রহণযোগ্য হয়েছে।'
Comments