নিউমোনিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ সপ্তাহে ১৫ শিশুর মৃত্যু
গত ২ সপ্তাহে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান সদর হাসপাতাল এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়ায় অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালগুলোতে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
খাগড়াছড়িতে মারা যাওয়া শিশুদের বয়স ১ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রিপন বাপ্পী।
তিনি বলেন, 'গত প্রায় ১৪ দিনে ৭টি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা গেছে এবং হাসপাতালের শিশু ইউনিটের প্রায় সব শয্যা শিশু রোগীতে ভর্তি। মারা যাওয়ার আগে আমরা ওই শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু বাবা-মা আর্থিক সমস্যার কারণে তাদের নিয়ে যেতে পারেননি।'
মারা যাওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকাংশই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বলে জানান ডা. বাপ্পী।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, 'গত ২ সপ্তাহে হাসপাতালে যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। এ ছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসকদের গাফিলতিও ছিল, যারা রোগীদের ঠিকঠাক যত্ন নেননি।'
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সানজিদা আফরিন বলেন, 'সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৩ মাস বয়সী এক শিশুকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠাণ্ডা ও নিউমোনিয়ার রোগী অনেক বেড়ে গেছে।'
এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাসকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শওকত আকবর হোসেন বলেন, 'রাঙামাটি সদর হাসপাতালে গত ২ সপ্তাহে নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত জটিলতায় ৬ শিশু মারা গেছে।'
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জিয়াউল হায়দার বলেন, 'সম্প্রতি বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রায় ২ মাস বয়সী এক শিশু নিউমোনিয়ায় মারা গেছে।'
Comments