‘আধাপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশে 'আধাপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে'। আয় কমে যাওয়ায় এবং নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ সংকটে পড়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে সিপিবি। সেইসঙ্গে অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তার দাবিও জানান তারা।

সমাবেশে বক্তারা ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ে গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানব মুক্তির জন্য চলমান দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় পল্টন মোড়ে সিপিবি এই সমাবেশের আয়োজন করে। ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল দেশব্যাপী সিপিবির সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচির আজ ছিল দ্বিতীয় দিন।

সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'আমরা ভাত চাই, ভোটের অধিকার চাই। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা এ দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, হরতালও করেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা জানেন বাংলাদেশের বাজারের কী অবস্থা। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম যা প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও নাগালের বাইরে চলে গেছে।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সেলিম বলেন, 'চালের দাম বাড়িয়ে দেন তাতে অসুবিধা নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষের বেতন-মজুরি লাখ টাকা করে দেন। আদতে তা তো হচ্ছে না। মানুষের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং জনজীবন আজ বিপর্যস্ত।'

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'মানুষের জীবনের দুরবস্থা দূর করতে হলে পুরো ব্যবস্থা বদল করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগী চক্র ভাঙতে হলে উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তুলতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা এবং ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে।'

'সরকার জনগণের এই দুরবস্থা লাঘবের কোনো চেষ্টা তো করছেই না বরং জেলায় জেলায় আমাদের কর্মসূচিতে সরকারি দল ও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। মন্ত্রীরা বলে, মানুষ খেয়ে-পরে আছে। এই 'খাওয়ার' সংজ্ঞা কী?,' যোগ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, 'বাজার আজ মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের দখলে। সরকারের এ বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। উপরন্তু তাদের ওপর ভরসা করেই সরকার টিকে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

3h ago