জাপান ও কোরিয়া সফর করবেন বাইডেন

জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম এশিয়া সফর শুরু করতে যাচ্ছেন জো বাইডেন।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০ মে থেকে ২৪ মে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করবেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, বাইডেন কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এছাড়াও, টোকিওতে বাইডেনের উদ্যোগে পুনরুজ্জীবিত কোয়াড অংশীদারিত্বের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তিনি জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

মার্কিন প্রেস সচিব জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আমাদের সরকার, অর্থনীতি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই সফর বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার এবং কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মৈত্রীকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'

এই সফরকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েক দফা অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। দেশটির নেতা কিম জং উন এ সপ্তাহে এক বড় আকারের সামরিক কুচকাওয়াজের সময় তার পারমাণবিক বাহিনীকে 'সর্বোচ্চ সম্ভাব্য' গতিতে 'শক্তিশালী ও বিকশিত' করার অঙ্গীকার করেন, যা তার আগামী কয়েক মাসের সামরিক প্রত্যাশাকে প্রকাশ করেছে।

চার দিনের এই এশিয়া সফর প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের চলমান মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসেছে, কারণ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চান। ইউরোপের এই সংঘাত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের দ্বিতীয় বছরে বাইডেনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছ।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েক ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্যে বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জোটগুলো বিশ্বজুড়ে 'নিয়মতান্ত্রিক শৃঙ্খলা' বজায় রাখার মূল চাবিকাঠি।

বাইডেন চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে প্রতিহত করার জন্য এশিয়ার প্রতি আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিবেচনা করার জন্য কাজ করছেন। বাইডেন টানা তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ অঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি এ অঞ্চলে তার প্রথম সফরের পরিকল্পনা করতে ১৬ মাসেরও বেশি সময় নিয়েছেন, যা অন্য যেকোনো সাম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি সময়। মূলত করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তার সফর বিলম্বিত হয়।

হোয়াইট হাউসের সহকারীরা জোর দিয়ে বলেছেন ইউক্রেন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পাশাপাশি তারা এশিয়ার দিকেও লক্ষ্য রাখতে পারবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
A freedom fighter’s journey to Mujibnagar

Who is a freedom fighter

The government's move to redefine freedom fighters has been at the centre of discussion

28m ago