‘ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে’

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
ফরিদপুরে 'জসিম পল্লি মেলা' উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। ছবি: স্টার

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সংকট মোকাবিলায় দল মত নির্বিশেষে সব ভেদাভেদ ভুলে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুরে সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তৌফিক-ই-ইলাহী। পক্ষকালব্যাপী জসীম পল্লি মেলা উদ্বোধন করতে তিনি ফরিদপুরে এসেছেন। শহরতলীর অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লি কবির বাড়ির পাশে কুমার নদের পাড়ে জসীম উদ্যানে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, সম্প্রতি ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীই বিপদে পড়েছে। এ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ব। জ্বালানি তেল, তরল গ্যাস, সার, কয়লা যা আমাদের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় তা বর্তমানে তিন থেকে ছয়গুণ বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের সামনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বিশ্ব বাজারে যেমন বেড়েছে সে হারে দেশে বাড়ানো হলে দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়বে। আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ভর্তুকি দেই। তবে তারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা বর্তমানে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেধাবী বলে সংকট তত প্রকট হচ্ছে না।'

ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে সমস্যা আরও বাড়বে—মন্তব্য করে তিনি বলেন, উত্তর ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। ভারত আমাদের গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা গম বেশি আনতাম ইউক্রেন থেকে। বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক মানুষ সংকটে আছে, সংকটের মুখে পড়ে গিয়েছে। আমাদের সহনশীল হতে হবে। টাকার অবমূল্যায়ন করা হলে আমাদের আমাদানি খরচ আরও বেড়ে যাবে। এই অবস্থায় ধৈর্য সাহস ও সহমর্মিতার সঙ্গে আমাদের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, বিরোধী দল উল্লাস করে যদি বাংলাদেশ বিপদের মুখে পড়ে। তাদের সে আশা বাস্তব হবে না। বিরোধীদল, জনগণসহ সবার উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা যাতে আমরা এ বিপদ থেকে কাটিয়ে উঠতে পারি।

তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সারা পৃথিবী যখন কঠিন সময় পার করছে, তখন আপনাদের আনন্দ পাওয়ার কিছু নেই। সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতা করুন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেতে। এতে দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি উপমহাদেশের মধ্যে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। করোনায় যেখানে অনেক দেশে জিডিপি হৃাস পেয়েছে, আমাদের সেখানে বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh to loosen interest rate on IMF prescription

However, the BB governor did not announce when Bangladesh Bank would introduce the flexible interest rate and exchange rate.

2h ago