ওমানে গ্যাস পাঠাতে সাগরের নিচে পাইপলাইন বসাতে চায় ইরান
বহুল আলোচিত ইরান-ওমান গ্যাসলাইন আবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। এই প্রস্তাবিত পাইপলাইনের মাধ্যমে সাগরের নিচ দিয়ে দিয়ে ইরানের গ্যাস যাবে প্রতিবেশী ওমানে।
গতকাল শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ'র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ গ্যাস মজুদের দেশ ইরান প্রতিবেশী আরব দেশটির জ্বালানি-ভিত্তিক শিল্প ও রপ্তানিনির্ভর এলএনজি প্ল্যান্টে গ্যাস সরবরাহ করতে চায়।
আইআরএনএ জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ওমান সফরে যাচ্ছেন। এর আগে ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওউজি ওমান সফরে পাইপলাইন প্রকল্প আবারও চালুর বিষয়ে কথা বলেন। এ উদ্যোগে ২ পক্ষই সম্মত হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান।
২০১৩ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প চালু করতে ইরান-ওমান চুক্তি করেছিল। চুক্তিতে সাগরের নিচ দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
২০১৬ সালে দেশ ২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে চেষ্টা করে। এর পরের বছর পাইপলাইনের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়।
তবে কিছুদিন পর ওমানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণে ভিন্নমতের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, ২০১৮ সালে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে এসে উপসাগরীয় দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিলে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি।
জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ওয়াশিংটন সেই চুক্তি পুনরুদ্ধারে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে নিয়ে ভিয়েনায় আবার আলোচনা শুরু করে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হলে নতুন করে চুক্তিতে পৌঁছানোর আগ মুহূর্তে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়।
বিশ্বব্যাপি জ্বালানী সংকটের মধ্যে আবারও প্রাণ ফিরে পেতে পারে বহুদিন আগের এই হারিয়ে যাওয়া প্রকল্প।
Comments