বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

দ্য ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট (ডব্লিউআইআর) ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ২০২১ সালে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

গত ৯ জুন জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে (ইউএনসিটিএডি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল। যার ফলে সে বছর ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। যেটি তার আগের বছরে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে ২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের পতন থেকে পুনরুদ্ধার করে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি ছিল চট্টগ্রামের আনন্দবাজারে ২ বিলিয়ন ডলারের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ।

ইউএনসিটিএডি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে মহামারির আগের এফডিআই পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। ওই বছর প্রায় ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ হয়েছে, তবে ২০২২ সালে সেই ধারাবাহিকতা টিকে থাকার সম্ভাবনা কম।

'আন্তর্জাতিক কর সংস্কার ও টেকসই বিনিয়োগ' শিরোনামের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক পরিবেশ মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা পেতে হবে।

এই এলাকায় বর্তমান বিনিয়োগের প্রবণতা সর্বতভাবে ইতিবাচক নয়, উল্লেখ করে ইউএনসিটিএডি-এর সেক্রেটারি-জেনারেল রেবেকা গ্রিনস্প্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'উৎপাদন ক্ষমতা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজন।'

'এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এখন কাজ করছি। যদিও দেশগুলো জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটের কারণে সৃষ্ট সমস্যার সম্মুখীন। সেখানে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২১ সালে ভারতে এফডিআই প্রবাহ ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ৬০ বিলিয়ন ডলার থেকে কম। 

এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভুটানও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোর এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউএনসিটিএডি-এর বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে এ বছর ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানির ৩ গুণ সংকটে উচ্চ মূল্য এবং অর্থায়নে সংকট দেখা দিয়েছে।

এফডিআইয়ের আকাশে দুর্যোগের ঘটঘটার অন্যান্য কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মহামারির প্রভাব, প্রধান অর্থনীতিতে আরও সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা, আর্থিক বাজারে নেতিবাচক মনোভাব এবং একটি সম্ভাব্য মন্দা

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

10h ago