শুধু ২৫ এজেন্সি কেন কর্মী পাঠাবে, মালয়েশিয়ান মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন

ছবি: শেখ এনামুল হক

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের মাত্র ২৫টি এজেন্সিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানকে ব্যাখা দেওয়ার  অনুরোধ জানিয়েছেন একজন সংসদ সদস্য (এমপি) এবং অভিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক দুটি সংস্থা।

ক্লাং শহরের এমপি চার্লস সান্টিয়াগো জানিয়েছেন, কেনো নির্দিষ্ট সংখ্যক এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং তারা কীভাবে অভিবাসী কর্মীদের শ্রম শোষণের বিষয়টি সমাধান করবে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। 

সারাভানানের বাংলাদেশ সফরের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর সামনে এসেছে বিষয়টি। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানিয়েছিলেন, কোন এজেন্সিগুলোকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে তা মালয়েশিয়ার ওপর নির্ভর করে।

দুর্নীতি এবং জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে মালয়েশিয়া। এর ৪ বছর পর চলতি বছরের জুন মাসে আবারও নিয়োগ শুরু হওয়ার কথা।

চার্লস সান্তিয়াগো জানিয়েছেন, আমিন নামের একজনের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি বাঁছাই করা হয়েছে।

গত ১২ জুন তিনি মালয় মেইলকে জানান, 'এই ২৫টি সংস্থা কীভাবে সমস্যার সমাধান করবে তা মন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। এই বিষয়ে যথেষ্ট গড়িমসি করা হয়েছে এবং জনগণ এবং দেশের অর্থে সেটা করা হচ্ছে।'

বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা দাতুক সেরি মোহম্মদ আমিন আবদুল নরের কথা উল্লেখ করছিলেন চার্লস। যে কোম্পানিটি মালয়েশিয়া সরকারকে কেন্দ্রীয়ভাবে বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে সহয়তা প্রদান করে। 

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমিনের বিরুদ্ধে একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। যারা একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and supress political opposition.

2h ago