বরগুনায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫ পুলিশ সদস্য

বরগুনা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার পর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন-আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দাদন মিয়া (৪৩), এসআই শহীদুল আলম হাওলাদার (৪৮), এএসআই কামাল উদ্দিন মিয়া (৩৮) এএসআই সোহরাব (৩৪) পুলিশের সদস্য কবির খান ((৪০) আহত হন।

তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দাদন মিয়া ও শহীদুল আলম হাওলাদারকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ কে হাই স্কুল চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে এ কে হাই স্কুল চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আমতলী উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কর্মসূচি ছিল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

সভা শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা সড়কে বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।

ঘটনার পরপর পুলিশ বিএনপি কার্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির উপজেলা সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান হিরু, যুবদল সদস্য কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, মৎস্যজীবী দলের উপজেলা সভাপতি কবির তালুকদারসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।

জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ বিনা কারণে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের আটক করেছে।'

আমতলী থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিনা উস্কানিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে।'

সরকারি কাজে বাঁধাদানসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago