ভেসে গেছ সব, ২-৩ দিন কিছুই খাননি তারা

সিলেটে চারদিকে এখন শুধু ক্ষুধার্ত মানুষের আর্তনাদ। কোনো গাড়ি বা নতুন কোনো মানুষকে দেখলেই ছুটে আসছেন বন্যার্তরা। সবার চোখে-মুখে ক্ষুধার ছাপ।

অনেকেই আছেন ২-৩ দিন ধরে অনাহারে। কেউবা একমুঠো শুকনো খাবার খেয়ে কোনোমতে দিন পার করছেন।

আজ সোমবার সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বাজারে দ্য ডেইলি স্টার প্রতিবেদকের সঙ্গে বেশ কয়েকজন বানভাসি মানুষের কথা হয়।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কুদ্দুস মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘরে কোনো খাবার নেই। ২ দিন ধরে কিছু খেতে পারিনি। আমাদের এদিকে সরকারি কোনো ত্রাণ আসেনি। অনেক কষ্টে আছি। দেখার কেউ নেই।'

গাড়ি দেখলেই ত্রাণের আশায় ছুটে আসছেন বন্যার্তরা। ছবি: স্টার

স্থানীয় এক নারী বলেন, 'আমার বাড়ি দাড়িয়ার পাড়। ধান চাল সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে। গত ৩ দিন ধরে কিছু খেতে পারিনি। কেউ আমাদের খাবার দেয়নি।'

গাড়ি দেখে শামসুন্নাহার নামে বোরখা পরিহিত এক নারী পিছু নিয়ে দৌঁড় দিলেন। নিজের নামটা যেন ত্রাণের তালিকায় থাকে, সেটার জন্য আকুতি তার। তার বাড়ি চেঙ্গেরখাল নদীর তীরবর্তী মৃতিমহল গ্রামে।

তিনি বলেন, 'সবাই ত্রাণ নিয়ে ভেতরে যায়। মূল রাস্তায় কেউ কিছু দেয় না।'

সব মিলিয়ে ত্রাণ বিতরণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বয় জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় নৌকাচালক জালাল উদ্দিন।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago