রাজধানীতে বৃদ্ধার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আকলিমা আক্তার (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মনেশ্বর লেনের একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান।

ওসি জানান, ৪ তলা বাড়িটির ডুপ্লেক্স একটি ফ্ল্যাটে আকলিমার ভাগ্নে-ভাগ্নি শামিমা বেগম (৪৮) ও বশিরুল হক (৫০) থাকেন। আকলিমা ওই বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

গতকাল রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ থাকায় এ ব্যাপারে শামিমা ও বশিরুলের বক্তব্য নিতে পারেনি পুলিশ।

'তারা ২ জনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুস্থ হলে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব', যোগ করেন ওসি।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সন্দেহ করছি, এটি হত্যাকাণ্ড। পরিবার বলছে, ঘরের আলমারি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ৪০ হাজার টাকা খোয়া গেছে।'

বশিরুলের ভাতিজি জেসমিন হক জানান, এক সপ্তাহ আগে আকলিমা আক্তার তার সূত্রাপুরের বাসা থেকে বশিরুলদের বাড়িতে বেড়াতে যান।

তিনি বলেন, 'দাদি (আকলিমা) ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের নিচতলায় ছিলেন। বুধবার রাতে আমার চাচা বশিরুল ও ফুফু শামিমা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু খাবার খেয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে বাসায় আসেন তারা। কিছুক্ষণ পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।'

'দাদিকে রাত ৩টার দিকেও দেখেছি আমরা। তখন পরিবারের সদস্যরা এবং পাশের একটি ফার্মেসির এক লোক অসুস্থ হয়ে পড়া চাচা ও ফুফুর যত্ন নিচ্ছিলেন। পরে সকালে একটি রুমে দাদিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তার মুখে স্কচটেপ দেওয়া ছিল এবং হাত-পা বাঁধা ছিল', বলেন তিনি।

পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, বিল্ডিংয়ের বা বাইরের কেউ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। বের হওয়ার আগে আকলিমাকে হত্যা করে তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago