‘যৌক্তিক কারণ’ ছাড়া ঈদের ৭ দিন মহাসড়কে চলবে না মোটরসাইকেল

স্টার ফাইল ছবি

ঈদুল আজহার আগের ৩ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের ৩ দিন অনুমোদিত এলাকার বাইরে মোটরসাইকেল রাইড-শেয়ারিং করা যাবে না এবং সারাদেশের মহাসড়কে 'যৌক্তিক কারণ' ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।

এ ছাড়া, ঈদুল আজহার আগের ৩ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের ৩ দিন এক জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চালানো যাবে না। তবে 'যৌক্তিক ও অনিবার্য প্রয়োজনে' পুলিশের অনুমতি নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে।

আজ রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিত্যপণ্য, কাঁচামাল, ওষুধ, জ্বালানি তেল, গার্মেন্টস সামগ্রী, রপ্তানি পণ্য, পচনশীল দ্রব্য, পশুবাহী ট্রাক ছাড়া ভারি পণ্যবাহী ট্রাক ,কাভার্ড ভ্যান এবং লরি  ঈদের আগের ৩ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের ৩ দিন সারাদেশের মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ।

এসব নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় আজ এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী বলেন,  'মহাসড়কের ওপর পশুর হাট  বসানো যাবে না।'

এ সময় তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু পরিবহন না করার জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানান। সেইসঙ্গে সিএনজি ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

পোশাক শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার জন্য তিনি বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর  নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহন এ  পথে ঢাকায় আসবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে।'

এ চাপ মোকাবিলায় পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাসহ বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা এবং গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

      

                     

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

2h ago