আইফেল টাওয়ারে মরিচা, দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন

প্যারিসের উপকন্ঠে অবস্থিত আইফেল টাওয়ার
প্যারিসের উপকন্ঠে অবস্থিত আইফেল টাওয়ার। ছবি: পিক্সাবে/ক্রিয়েটিভ কমন্স

বিশ্বের সবচেয়ে চমকপ্রদ স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর অন্যতম আইফেল টাওয়ারের বেশ কয়েকটি অংশে মরিচা ধরেছে এবং তা খুব দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।

তবে সংস্কারের পরিবর্তে ২০২৪ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিককে সামনে রেখে প্রায় ৬ কোটি ইউরো খরচ করে স্থাপনাটি রঙ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন'র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৮৮৯ সালে ৩২৪ মিটার (১ হাজার ৬৩ ফুট) উঁচু লোহার তৈরি টাওয়ারটি উদ্বোধন করা হয়। ফরাসি স্থপতি গুস্তাভ আইফেলের নকশা অনুযায়ী টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয়তম পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ মানুষ এই অনবদ্য স্থাপত্যকীর্তি পরিদর্শনে আসেন। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে শুধু এই টাওয়ারটিকে এক নজর দেখার জন্য প্যারিসে যান।

আইফেল টাওয়ারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৮৭ সালে। ছবি: ট্যুর আইফেল
আইফেল টাওয়ারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৮৭ সালে। ছবি: ট্যুর আইফেল

বিশেষজ্ঞদের গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিএনএন আরও জানায়, টাওয়ারটি বর্তমানে বেশ দুর্বল অবস্থায় আছে এবং এর বিভিন্ন অংশে মরিচা ধরেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাওয়ারের এক ব্যবস্থাপক গণমাধ্যমকে বলেন, 'বিষয়টি খুবই সহজ। গুস্তাভ আইফেল এখন এ জায়গায় পরিদর্শনে আসলে হার্ট অ্যাটাক করতেন।'

এই টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা সোসাইতে দে এক্সপ্লোইসেসিও দে লা তুর ইফেল'র (এসইটিই) কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

টাওয়ারটিকে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রস্তুতি হিসেবে ৬ কোটি ইউরো খরচে আবারও রঙ করা হচ্ছে। এর আগে আরও ১৯ বার টাওয়ারটিকে রঙ করা হয়।

সাধারণত এসইটিই খুব বেশি সময়ের জন্য টাওয়ারটি বন্ধ রাখতে চায় না। কারণ, বন্ধ থাকলে পর্যটকদের কাছ থেকে রাজস্ব আসা বন্ধ হয়ে যায়।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago