‘প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন লঙ্ঘন করে জাবিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে’

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অপরিকল্পিত সব নির্মাণকাজ বন্ধ করে সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' এর মুখপাত্র রায়হান রাইনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। 

প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন লঙ্ঘন করে জাহাঙ্গীরনগরে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের স্থপতি আহসানউল্লাহ মজুমদার গত ৩০ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে মতবিনিময় সভায় জানান, ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় বারবার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মাস্টারপ্ল্যানের অপরিহার্যতার কথা বলেছেন। 

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি দুটি সভায় অংশীজনদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতকে তোয়াক্কা না করে পূর্বনির্ধারিত স্থানে নির্বিচারে গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারা চালাচ্ছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনরা প্রতিবাদ জানালে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো বিশেষজ্ঞ মতামত ছাড়াই যত্রতত্র স্থাপনা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় নির্বিচারে গাছ কেটে যত্রতত্র ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর'।

এছাড়া, মাস্টারপ্ল্যান ও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করলেও, শুরু থেকে এই কমিটিকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বর্তমান প্রকল্পের ডিপিপি ও লে-আউট প্ল্যানটি রাখা হয়েছে সবার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে এ বিষয়ে মতামত নেওয়া, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। 

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ডিপিপিতে তথ্য গোপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জেনেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পরিকল্পনাহীনভাবে একের পর এক ভবন নির্মাণ করলে ভবিষ্যতে জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় নির্মিত স্থাপনা ভেঙে সুয়ারেজ সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। 

'প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের বিরোধী আমরা কখনোই নই' উল্লেখ করে প্ল্যাটফর্মটি বর্তমান প্রকল্পের সব ধাপ এবং ভবিষ্যতের কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের আহ্বান জানায়।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

2h ago