শেখ হাসিনা সারা রাত জেগে থাকেন যাতে দেশের মানুষ ঘুমাতে পারে

quader_16jul22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন সারা রাত জেগে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পরিস্থিতি তিনি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত করোনা, বন্যা অতিক্রম করে; এই যুদ্ধের ইমপ্যাক্ট সেটাও তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। শক্ত করে হাল ধরে আছেন। তাকে শক্তি দিতে হবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে। শক্তি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে।

আজ শনিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিনটি যখন আমাদের সামনে আসে তখনই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওয়ান-ইলাভেন নামে অমাবশ্যার অন্ধকার। বাংলাদেশে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ রাজনীতিতে হঠাৎ করে বিরাজনীতিকরণের একটা ঝড় এলো। এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ৬ বছর পর তার সুকন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন জন্মভূমিতে পিতার রক্ত ভেজা মাটিতে। তার প্রথম কাজ ছিল গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সমস্ত শক্তিকে, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। শেখ হাসিনা পণ নিয়ে এসেছেন, পিছু হটেননি। ভয়কে জয় করতে এসেছেন, ভয় করেননি। প্রতি বিল্পবী শক্তির ভ্রুকুটির সামনে মাথানত করেননি।

রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী বন্দি হয়েছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলকেই প্রথম বন্দি করে। সরকারি দলের নেতা তখনো বাইরে। এত অপমান করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি—বলেন কাদের।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চলার পথে শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। একটা কথা আছে—ওয়ানস বিট্রেয়ার, অলওয়েজ বিট্রেয়ার। আওয়ামী লীগের কর্মীদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথায় কথায় অন্তঃকলহ করবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এ সময় ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, কেউ কিছু করতে পারবে না।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলে আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে; কোথা থেকে শুনলেন? রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টা যখন বাজবে। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা দূরে বাজছে, আওয়ামী লীগের বিদায় নয়। খেলা হবে, রাজনীতি-নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। খেলায় আসুন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus in Rome to attend Pope Francis' funeral

The chief adviser is visiting the Vatican to attend Pope Francis' funeral

5h ago